গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা উষ্ণায়নের জন্য বিভিন্ন হিমবাহ গলে যাচ্ছে, এই নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানী সবাই। শুনতে অবাক লাগলেও, আইসল্যান্ড তার প্রথম হারিয়ে যাওয়া হিমবাহ ‘ওকজোকুল’-এর জন্য স্মৃতিসৌধ বা মনুমেন্ট তৈরি করছে।
ইউনাইটেড স্টেটসের রাইস ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের দল, স্থানীয় গবেষকদের দল, আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাটরিন জাকবসদত্তির, পরিবেশ মন্ত্রী এবং আরও অনেকে এই মনুমেন্টটিকে উদ্বোধন করার জন্য উপস্থিত থাকবেন।
'পরবর্তী ২০০ বছরে আমাদের সমস্ত হিমবাহ একই পথ অনুসরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই স্মৃতিস্তম্ভটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কারণ এই যে, আমরা জানি যে কী ঘটছে এবং কী করা দরকার। আমরা পেরে থাকলে, একমাত্র আপনিই জানতে পারবেন।’ – মনুমেন্টটির ওপর ব্রোঞ্জ প্লেটে এমনটাই লেখা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানী সাইমন হাওয়। মে মাসে পরিমাপ করা বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ ‘405 ppm CO2’-ও লেখা থাকবে প্লেটটিতে।
প্রসঙ্গত, ১৮৯০ সালে ১৬ স্কোয়ার কিলোমিটার জুড়ে থাকা ওকজোকুল হিমবাহ ক্ষয় পেতে পেতে ২০১২ সালে কেবল মাত্র ০.৭ স্কোয়ার কিলোমিটারের আকার নিয়েছিল। ২০১৪ সালে আইসল্যান্ড মেটেওরওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট সেটিকে হিমবাহের পরিসংখ্যান থেকে সরিয়ে দেয়।
বিজ্ঞানীদের কথায়, গোটা বিশ্ব জুড়ে মানুষ বিভিন্ন জায়গায় তার কাজের স্মৃতি বানিয়ে রেখেছে। এই মনুমেন্টটিও মানুষেরই এক কাজের জন্য কিন্তু যা নিয়ে কেউ গর্বিত নয়। ২০০ বছর পর সব হিমবাহ নষ্ট হয়ে গেলেও মনুমেন্টটি মানুষের স্মরণে থেকে যাবে। মানুষ কী করেছিল এবং কী হতে চলেছে জেনেও যে কিছু করেনি, এই মনুমেন্ট সেসবের সাক্ষ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে।