২০১৯-এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সেই সিদ্ধান্তে একেবারেই পাল্টে গিয়েছিল ক্রিকেটের পরিচলন। শুরুয়াত হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের। ক্রিকেটের সেই লিগ ফর্ম্যাটকে ওয়ানডে-তেও এবার চালু করল আইসিসি। খুব শীঘ্রই শুরু হচ্ছে এই ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ সুপার লিগ, জানাল আইসিসি।
টেস্টের বিশ্ব লিগ ৯টি দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হলেও, ওয়ানডের ক্ষেত্রে এই লিগ চলবে ১৩টি দেশের মধ্যে। আইসিসি’র ১২টি স্থায়ী সদস্য দেশ ছাড়াও এই প্রতিযোগিতার অংশ হিসাবে থাকবে নেদারল্যান্ডস। আগামী সপ্তাহেই ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের ম্যাচের মধ্যে দিয়েই উদ্বোধন হবে এই লিগের।
তবে আইসিসি-র লক্ষ্য এক ঢিলেই দুই পাখি মারা। একদিকে যেমন আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ডের মত দেশগুলিতে ওয়ানডে ক্রিকেটের দর্শকদের আকর্ষিত করা হবে। তেমনই অন্যদিকে ২০২৩ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ভূমিকা পালন করবে এই লিগই। উল্লেখ্য ২০২৩ বিশ্বকাপেও মাঠে নামবে ১০টি দেশ। আইসিসি জানিয়েছে আয়োজক দেশ হিসাবে ভারত এবং লিগের প্রথম সাতটি দেশ সরাসরি জায়গা পাবে বিশ্বকাপে। ভারত প্রথম সাতের মধ্যে থাকলে সেক্ষেত্রে সুযোগ পাবে অষ্টম স্থানাধিকারী দেশ। বাকি দুটি স্থানের জন্য শেষ পাঁচটি দলকে খেলতে হবে অ্যাসোসিয়েট দেশগুলির বিরুদ্ধে।
এই টুর্নামেন্ট চলবে তিন বছর ধরে। তিন বছরে প্রতিটি দেশই খেলবে ৮টি করে ৩ ম্যাচের সিরিজ। থাকছে ৪টি হোম এবং ৪টি অ্যাওয়া সিরিজ। তবে কোনো দেশের বিরুদ্ধে বাইশ গজে নামতে হবে একবারই। সিরিজ জিতলে ১০ পয়েন্ট পাবে দল। সিরিজ ড্র হলে পয়েন্ট সমান ভাগে ভাগ হয়ে যাবে দুই দলের মধ্যে। আলাদা করে কোনো নকআউট ম্যাচ হবে না। অর্থাৎ ছোট দলগুলিও আগামী তিন বছরে মোট ২৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পারবে। তাতে প্রস্তুতি এবং ফর্মও বাড়বে বলেই আশাবাদী আইসিসি।
আরও পড়ুন
‘আমাকেও একা করে রাখা হয়েছিল’, বর্ণবৈষম্যের প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার এনতিনি
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মতি নন্দী, কলাবতীর ক্রিকেট ও একটি সত্যি-গ্রামের গল্প