ধরুন আপনি পেট্রোল পাম্পে গেছেন গাড়ির তেল ভরতে। আপনি জানেন, পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ৭০ টাকার উপর। কিন্তু দাম দিতে গিয়ে অবাক হলেন। প্রতি লিটার তেলের দাম নাকি মাত্র ৪০ টাকা! শুধু তাই নয়, এই তেল ব্যবহার করলে পরিবেশ দূষণের প্রতিকারও সম্ভব। রীতিমতো অবাক হওয়ার মতই বিষয়। আর এই অবাক করা উদ্যোগ বাস্তব হয়েছে হায়দ্রাবাদের এক ইঞ্জিনিয়ারের হাত ধরে। জোগাড় করে ফেলেছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রকের ছাড়পত্র।
আরও পড়ুন
সালোকসংশ্লেষ করবে কংক্রিটও, নতুন ‘প্রাণ’-এর সৃষ্টি ইঞ্জিনিয়ারের
পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে দেশে বিদেশে নানারকম উদ্যোগ গড়ে উঠছে। তার মধ্যেই নতুন সংযোজন প্রফেসর সতীশ কুমারের কারখানা। এখানে পেট্রল তৈরি হয় ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক থেকে। ত্রিস্তরীয় যে পদ্ধতিতে পেট্রোল তৈরি হয়, তার নাম প্লাস্টিক পাইরোলিসিস। এই পদ্ধতিতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক থেকে প্রস্তুত করা যায় পেট্রোল, ডিজেল, এমনকি বিমানের জ্বালানি। প্রতি ৫০০ কেজি প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি প্রস্তুত হয় প্রায় ৪০০ লিটার। সতীশ কুমারের কারখানায় প্রতিদিন ২০০ কেজি প্লাস্টিক রিসাইকেল করা হয়। ইতিমধ্যে এই উদ্যোগের ফলে পৃথিবীর বুক থেকে প্লাস্টিকের বোঝা কমেছে প্রায় ৫০ টন। তার সঙ্গে এই প্লাস্টিকের অর্থকরী দিকটাও তো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখনও অবধি যদিও কেবলমাত্র বিভিন্ন কারখানায় যন্ত্রপাতি চালাতেই এই পেট্রোল ব্যবহার করা হচ্ছে, তবে খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হবে মোটর গাড়ি চালাতে কোনো অসুবিধা আছে কিনা।
আরও পড়ুন
মহাকাশে পাঠানো হবে ব্যোম মিত্র-কে, ঘোষণা ইসরোর
পৃথিবীতে প্রতিদিন কতকিছুই বদলাচ্ছে। বদলাচ্ছে অর্থনীতিও। এইসব বিকল্প জ্বালানির কথা আরও বেশি বেশি করে উঠে এলে, একদিন হয়তো আর জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কোনো প্রয়োজনই থাকবে না। তাছাড়া প্লাস্টিক দূষণের যে ভয় মানুষকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে, নিষ্কৃতি মিলবে তার থেকেও। বিকল্প জ্বালানির উৎস সন্ধানে গবেষণার পাশাপাশি এ-ধরনের ব্যবসায়িক উদ্যোগও অবশ্যই প্রয়োজন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে।