সতর্কতা আগেই ছিল। এরই মধ্যে প্রবল শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে হ্যারিকেন হান্না। একদিকে করোনা ভাইরাস আর অন্যদিকে এই ঘূর্ণিঝড়ের মিলিত দাপটে আমেরিকার জনজীবন প্রবল ক্ষতির মুখোমুখি। আমেরিকার সময় অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় হান্না আছড়ে পড়ে টেক্সাসের পেডর দ্বীপে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টি থেকে ব্রাউনসভিল পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে হ্যারিকেন হান্না। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম সতর্কতা নেওয়ায় এখনও অবধি হতাহতের সংখ্যা শূন্য বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু স্থলভাগে প্রবেশ করার পরেও ঝড়ের দাপটে কোনো অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। শেষ পাওয়া সংবাদ অনুযায়ী ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে চলেছে ঘূর্ণিঝড়।
এদিকে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট জানিয়েছেন মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণের কাজ নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় আছে প্রশাসন। শারীরিক ক্ষতি কারোর না হলেও ঝড় এবং ভূমিধসের কারণে নাগরিক জীবন যথেষ্ট সমস্যায় পড়বে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য হোয়াইট হাউসের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা হলে তাতে সাড়া দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সংশয়ের মেঘ তাতেও কাটে না।
দক্ষিণ টেক্সাসের বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে ইতিমধ্যে ৩৮০০০ মানুষ করোনা আক্রান্ত। মৃত্যু ঘটেছে ৫০০০ জনের। তার মধ্যে প্রকৃতি যেন মানুষের বিরুদ্ধে মিলিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এদিকে জানা গিয়েছে শুধু হান্নাই শেষ নয়, অতি দ্রুত হাওয়াই দ্বীপে আছড়ে পড়তে চলেছে এই সময়ের সব থেকে বড় ঘূর্ণিঝড় ডগলাস। তাই প্রত্যেকেই এখন ঘরের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক নিয়ে বন্দি। ২০২০ সাল মানুষের জীবনে আরও কত বিপত্তি ডেকে আনবে, তারই হিসাব কষছেন সকলে।
আরও পড়ুন
ঝড়ে বাসা-হারানো পাখিদের আশ্রয় হয়ে উঠছে কলসি, উদ্যোগ জয়িতা কুণ্ডু ও তাঁর দলবলের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে ঝড়, কালবৈশাখীতে আবার বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ