লকডাউনে চারিদিক বন্ধ। ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া মানুষরা ফিরছেন অন্ধকার নিয়ে। দরিদ্র মানুষগুলোর ঘরে কমে আসছে খাবার। চাকরি নেই, পয়সাও নেই। কিন্তু পেটে তো কিছু দিতে হবে? বছর আটের দলিত পরিবারের মেয়েটাও সেই খাবারের কথাই ভেবেছিল। বদলে মিলল নির্যাতন, ধর্ষণ!
সম্প্রতি তামিলনাড়ুর নাগেরকোলিতে ঘটে গেল এমনই পাশবিক ঘটনা। গ্রামেই ছোট্ট একটি বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে থাকে বাচ্চা মেয়েটি। দলিত পরিবার, কাজেই সমাজের এক কোণে থাকাটা নিয়তি হয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে লকডাউন এসে ঘা মারল সংসারে। বাবার চাকরি চলে গেল, মা-ও অসুস্থ। এদিকে খাবার ও টাকা দুটোই ফুরিয়ে আসছে। খিদের তাড়নায় আট বছরের মেয়েটি সাহায্য চাইতে গিয়েছিল প্রতিবেশীদের বাড়িতে। যদি দু’মুঠো পাওয়া যায়!
না, জোটেনি খাবার। উল্টে তারই এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে মিলল নির্যাতন। অন্তত ছয়জন মিলে শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে বলে সূত্রের খবর। পরে বাড়িতে জানানোর পর থানায় রিপোর্ট করা হয়। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেয়েটি এবং তার পরিবারকে জুভেনাইল হোমে রাখা হয়েছে।
লকডাউনের ভারতে এভাবেই নানা প্রান্তে ফুটে উঠছে নানা চিত্র। একদিকে যেমন মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে মানুষ; অন্যদিকে তাঁরাই আবার অন্যকে পিষে মারার জন্য হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে। করোনার পরিস্থিতিতেও রোখা গেল না ধর্ষণ ও নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য ঘটনা। প্রসঙ্গত, লকডাউনের সময়ই বিশ্বের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ভারতেও গৃহ নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। দু’মুঠো খাবারের খোঁজেই তো বেরিয়েছিল মেয়েটি। এই কি তার প্রতিদান? এরকম আরও কত ঘটনা ভেতরে ঘটে চলেছে! সমস্ত কিছু ভুলে, মানুষ হিসেবে একবার নিজেদের দিকেও আঙুলটা তোলা হবে না?
Powered by Froala Editor