লর্ড রবার্ট ক্লাইভ, নামটা আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। ইংল্যান্ডে তাঁর পরিচয় 'ক্লাইভ অফ ইন্ডিয়া'। সেই নামেই একটি মূর্তি আছে স্যুজবেরি শহরে। কিন্তু সম্প্রতি দাবি উঠেছে, সেই মূর্তি সরিয়ে ফেলতে হবে। ক্লাইভের মতো নির্লজ্জ্ব স্বৈরশাসকের মূর্তি আদৌ শহরের গর্ব বাড়ায় না, দাবি প্রতিবাদীদের। আর সেই দাবিপত্রে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬৫০০এর বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে।
স্যুজবেরি শহর থেকে ক্লাইভের মূর্তি অপসারণের দাবি অবশ্য তুলেছেন একজন ইংরেজ। নাম জ্যাক থম্পসন। ঔপনিবেশিক শাসন ও অত্যাচারকে আদৌ গর্বের বিষয় বলে মনে করেন না অধিকাংশ ইংরেজ। ক্লাইভের মূর্তি অপসারণের দাবি সেই কথাই প্রমাণ করল আরেকবার। দাবিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, একজন গণহত্যাকারীর পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রদর্শন ব্রিটিশ জাতির কাছে গর্বের তো নয়ই, বরং লজ্জার বিষয়। সেইসঙ্গে কুখ্যাত ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের জন্যও ক্লাইভের শাসনকেই দায়ী করা হয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে ঔপনিবেশিক সাদা চামড়ার শাসকদের ইতিহাস শুধুই রাজনৈতিক নয়, একধরনের সামাজিক সংকটের কথাও বলে। আর সম্প্রতি সেটাই আবার আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকায় জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলনের সূত্র ধরে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে ভেঙে ফেলা হয়েছে এক দাস ব্যবসায়ীর মূর্তি। আর তার পরেই দাবি উঠেছে ক্লাইভের মূর্তি অপসারণেরও। সেইসঙ্গে প্রতিবাদীরা দাবি করেছেন, ক্লাইভের জায়গায় এমন কোনো ব্রিটিশের মূর্তি বসানো হোক, যাঁর কীর্তি সত্যিই ব্রিটিশ জাতির গর্বের কারণ। রাজনৈতিক দমন বা উৎপীড়ণ নয়, মানবিকতাই হয়ে উঠুক মর্যাদার মাপকাঠি।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
প্রতিবাদের আগুন ছড়াল ব্রিটেনে, ভাঙা হল দাস ব্যবসায়ীর মূর্তি, রেহাই নেই ‘রেসিস্ট’ চার্চিলেরও