প্রতিদিন একটু একটু করে কমছে পৃথিবীতে গাছের সংখ্যা। বাস্তুতন্ত্রের সংকট তো আছেই, সেইসঙ্গে সংকট নেমে আসছে মানুষের অস্তিত্বেও। কিন্তু এভাবে কীভাবে চলবে সমস্তকিছু? কতদিনই বা টিকে থাকবে মানুষের অস্তিত্ব? এইসব প্রশ্নও অনেকদিন ধরেই উঠছে। কিন্তু উত্তর জানেন না কেউই। তবে সম্প্রতি দুই বিজ্ঞানীর গবেষণা দাবি করেছে, সভ্যতার ভবিষ্যৎ মোটামুটি বলতে পারেন তাঁরা। আর সেই ভবিষ্যৎ একেবারেই সুখপ্রদ নয়।
মানুষের আধুনিকতার জয়যাত্রা যখন শুরু হয়, তখন পৃথিবীতে প্রায় ৬০ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার ঘন অরণ্য ছিল। আর এখন সেই পরিমাণটা কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে ৪০ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটারে। তবে গত কয়েক দশকে বনভূমি ধ্বংসের পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আর সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ড. গেরার্দো অ্যাকুইনো এবং অধ্যাপক মাউরো বোলোগনা দেখিয়েছেন, পৃথিবীর বুক থেকে শেষ গাছটির অস্তিত্ব মুছে যেতে সময় লাগবে আর ১০০ থেকে ২০০ বছর। সম্প্রতি ‘নেচার সায়েন্স রিপোর্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে এই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই।
তবে মানুষের অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য সেই অন্তিম সময়ের অপেক্ষা করতে হবে না। অর্থাৎ হাতে থাকল মাত্র কয়েক দশক সময়। এর মধ্যেই বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য একেবারেই ভেঙে পড়তে চলেছে। জীবতন্ত্রে কার্বনের পরিমাণ কমতে কমতে মানুষের বেঁচে থাকার শেষ সীমায় পৌঁছতে চলেছে। আর অক্সিজেনের কথা তো নতুন করে বলার কিছুই নেই। আর পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে এগোচ্ছে যে এই সংকট থেকে মুক্তির প্রায় কোনো উপায় নেই বলেই জানাচ্ছেন দুই বিজ্ঞানী। তাঁদের কথায়, দৈবাৎ কিছু ভালো খবর পাওয়ার সম্ভবনা শতকরা ১০ ভাগ। আর তাও সম্ভব কেবলমাত্র প্রযুক্তির জগতে বৈপ্লবিক কোনো আবিস্কারের ফলেই। পরিবেশের উপর যে অত্যাচার চলেছে কয়েক শতাব্দী ধরে, তার চাকাটা হঠাৎ ঘুরিয়ে দিতে হবে। আদৌ সেটা সম্ভব হবে কিনে, সেকথা ভবিষ্যতই বলতে পারবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দু-দশকে হারিয়েছে এক মিলিয়ন হেক্টরের বেশি বনভূমি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থ আইনের শাসন