উনিশ শতকের শেষ দশকের বিপ্লব নিয়ে একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল ফিলিপিনিয় চলচ্চিত্র পরিচালক লাভ ডিয়াজ-এর। পরিকল্পনা মোতাবেক স্পেনের হাত থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির শতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত একটি সরকারি প্রতিযোগিতার জন্য ‘স্পেনিয় উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে আমাদের বিপ্লবের জনক’ আন্দ্রেস বোনিফাসিও-র মৃত্যু নিয়ে ১৯৯৮ সালে তিনি একটি চিত্রনাট্য লেখেন এবং অন্যতম বিজয়ীও হন। ছবিটি তৈরির জন্য তাকে ৫ মিলিয়ন পেসো অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু ছবি তৈরির প্রস্তুতি নেওয়ার শুরুতেই হঠাৎ বাতিল করে দেওয়া হয় চুক্তি। পরিবর্তে, সরকার একটি চলচ্চিত্র তৈরি করে যাতে বোনিফেসিও হত্যার আদেশকারী এমিলিও আগুইনাল্ডোকে (ফিলিপিন্সের প্রথম রাষ্ট্রপতি) উপস্থাপন করা হয় প্রকৃত নায়ক হিসাবে; যদিও বোনিফাসিওকে অন্যতম জাতীয় নায়ক হিসেবে মানা হয় সে দেশে। পরে জানা যায় যে, আগুইনাল্ডোর নাতি যিনি সামরিক শাসনের সময়ে একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ছিলেন, তিনি স্বয়ং ছিলেন কমিশনে। সে যাত্রায় না হলেও ২০০৩ সালে আবার ছবিটি বানানোর চেষ্টা করেন ডিয়াজ কিন্তু অর্থের অভাবে থেমে গিয়েছিল কাজ। অবশেষে ২০১৪ সালে এক তরুণ ফিলিপিনীয় চলচ্চিত্র নির্মাতার সহায়তায় সিঙ্গাপুর থেকে পোস্ট-প্রোডাকশন অনুদান পেয়ে ছবির কাজ শেষ হয়।
ছবির নাম—আ লালাবায় টু দ্য সরোফুল মিস্ট্রি (২০১৬)। ছবিটা প্রায় একটা মহাকাব্য যেখানে কল্পকাহিনি, গল্প, ইতিহাস সব জড়িয়েমড়িয়ে আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামী আন্দ্রে বোনিফাসিও এবং সমসাময়িক ডাক্তার ঔপন্যাসিক মুক্তিযোদ্ধা হোসে রিজাল এ ছবির অন্যতম উপাদান, যদিও তাদের শরীরী উপস্থিতি এ ছবিতে নেই। এ ছবির মূল সময়কাল ফিলিপিন্সে স্পেনিয় রাজত্বের শেষাংশ। কীভাবে সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক স্পেনিয়রা ফিলিপিন্সে নিজেদের উপনিবেশ ধরে রাখতে ফিলিপিনিয়দেরই (অপ)ব্যবহার করে এবং কীভাবে ঔপনিবেশিত ফিলিপিনীয়দেরই অন্তর্দ্বন্দ্ব (কাতিপুনান বিপ্লবী সমাজ তথা তাগালগ প্রজাতান্ত্রিক সরকারদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব) মুক্তিযুদ্ধের পথে অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে—তা এই ছবির মূল চালচিত্র।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপপুঞ্জসম্বলিত রাষ্ট্র ফিলিপিন্সের রক্তাক্ত হওয়ার ইতিহাস দীর্ঘ। ফিলিপিন্স স্প্যানিশ ইস্ট ইন্ডিজ উপনিবেশের অংশ ছিল ১৫৬৫ পরবর্তী প্রায় ৩৩৩ বছর। অষ্টাদশ শতকের বছর বিশেক ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা ছিল আবার আরেক ইয়োরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইংল্যান্ডের অধীন। স্পেনিয় সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্ত হয়ে ফিলিপিন্স মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের হাতে পরাধীন হয় ১৯০১ সাল থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে কিছু বছরের জন্য ফিলিপিন্স ছিল জাপ সাম্রাজ্যবাদের অধীনস্থ। শেষে ১৯৪৬-এ স্বাধীন হয় ফিলিপিন্স। কিন্তু প্রকৃত মুক্তির স্বাদ ফিলিপিন্সবাসী আজও পায়নি। প্রতিটি সরকারের সময়েই ফিলিপিন্সে বহু মানবাধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোসের ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৬-র সময়কালটি হয়ত ‘স্বাধীন’ ফিলিপিন্সের ওপর সবচেয়ে রক্তাক্ত ছায়া ফেলেছে। মার্কোসের জারি করা ১৯৭২-এর মার্শাল আইনপ্রসূত স্বৈরাচারী নৃশংসতার ভয়াবহতা অকল্পনীয়।
আ লালাবায় টু দ্য সরোফুল মিস্ট্রি ছবিটির দৈর্ঘ ৪৮৯ মিনিট বা ৮ ঘণ্টা ৯ মিনিট। এটি প্রাতিষ্ঠানিক অর্থে কোনো নিরীক্ষামূলক ছবি নয়। এটি একটি আখ্যানধর্মী ছবি। কিন্তু এ ছবির দৈর্ঘের কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এ ছবি দেখার অভিজ্ঞতাই এমন অ-প্রথাগত যে তা নিয়েই বহু আলোচনা জরুরি। (এমন কিন্তু নয় যে এমন দৈর্ঘের ছবি আর কেউ তৈরি করেননি/না।) এ ছবি বিতরণ (ডিস্ট্রিবিউশন), প্রদর্শন (এগ্জিবিশন), গ্রহণ (রিসেপশন) ইত্যাদির যুক্তি কেমন হয়—তাও বুঝতে চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবং যিনি ছবিটা বানিয়েছেন তিনি তাঁর দর্শকদের ছবিটা কীভাবে দেখাতে চান বা দেখতে বলতে চান—সেও এক লম্বা আলোচনার বিষয়। দীর্ঘ বোঝাবুঝির বিষয় এও যে এই ধরনের ছবি অন্যান্য ছবির থেকে ঠিক কোথায় আলাদা অথবা আদৌ আলাদা কিনা। কিন্তু সেসব গবেষণার বিষয় এই পরিসর নয়। তাই এটুকু বলেই আপাতত কাজ সারা যাক যে, এ ধরনের ছবি বানানো শুরুর প্রায় প্রথম পর্যায়েই আমরা ডিয়াজকে দেখেছি সাড়ে দশ ঘণ্টা দৈর্ঘের ছবি বানাতে [এভোল্যুশন অফ আ ফিলিপিনো ফ্যামিলি (২০০৪)]। ‘ডিজাটাল প্রযুক্তিকে মুক্তির ধর্মতত্ত্ব’ হিসেবে দেখে ডিয়াজ প্রাণের আনন্দে ছবি বানান। তিনি বলেন—‘স্টুডিওর ওপর নির্ভর না ক’রে আজ ছবি করা যায়। ঘরে বসে ছবি তুলে সরকার উলটে দেওয়া যায়। চলচ্চিত্র জীবনেরই অংশ। আপনি বাড়ি থেকে ঘুরে এসেও দেখতে পারেন তখনও ছবিটা চলছে। দর্শকের/দেখার ধারণাটাই বদলে যাচ্ছে।’ এধরনের ছবিকে অনেকে ‘লং সিনেমা’, ‘স্লো সিনেমা’ গোত্রভুক্ত করে পড়েন। কিন্তু ডিয়াজের কাছে চলচ্চিত্র শুধুই চলচ্চিত্র। যেমন ছোটো হোক বা বড়ো—যে কোনো চিত্রপটই যেমন শুধুই চিত্রপট, ঠিক তেমন।
আমাদের আলোচ্য ছবিতে দু’টো সমান্তরাল যাত্রা চলতে থাকে। অপহৃত (এবং পরবর্তীতে মৃত) স্বামী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীর খোঁজে এক সফর আর একদিকে আহত এক স্বপ্নাচারীর দেশের গোপন মানুষ-মাটি ছুঁতে ছুঁতে নিশ্চিত অন্তিমতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে গমন। প্রথম দলে চার জনের মধ্যে তিন জন মেয়ে। এবং এঁরা প্রত্যেকেই বাস্তব ঐতিহাসিক চরিত্র। এদের মধ্যে একজনের ছেলেরা স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে স্পেনিয়দের হাতে নিহত হয়েছিলেন। দ্বিতীয়জন অর্থাৎ সেজারিও বেলারমিনো ছিলেন এমন এক অনুতপ্ত মহিলা যাকে টোপ হিসেবে কাজে লাগিয়ে স্পেনিয়রা বহু বিল্পবীকে ধরতে পেরেছিল এবং সিলাং হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পেরেছিল। তৃতীয়জন গ্রেগরিয়া দ্য জেসাস স্পেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে অত্যাচারিত ও ধর্ষিত হয়েছিলেন। তাঁর স্বামীই ছিলেন আন্দ্রে বোনিফাসিও, যাঁর খোঁজেই তাঁরা পাহাড়-পর্বত ভেঙে ঘুরে বেড়ান গোটা ছবিটা জুড়ে। তাদের খোঁজ বারবার বাধাপ্রাপ্ত ও বিপথগামী হয় তিন চরিত্রের দ্বারা, যাদের আমরা স্পেনিয় শাসকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় দেখি। কিন্তু চরিত্রগুলির অঙ্গভঙ্গি এতই অপ্রকৃতস্থ যে রক্তমাংসের মানুষের প্রতি যে শত্রুসুলভ ঘৃণা করা যায়, এদের অভিব্যক্তি তারও উদ্রেক ঘটায় না। বার্নার্দো ক্যাপ্রিও, টিকবালাং ইত্যাদির মতো মালয়-পুরাণ থেকে উঠে আসা বিশাল সমস্ত চরিত্ররা হঠাৎ হঠাৎ উদয় হয়, কেউ স্বশরীরে কেউবা লোকস্মৃতির হাত ধ’রে।
দ্বিতীয় দলের প্রত্যেকেই পুরুষ। তাঁরা গুলির (নিজেদেরই মধ্যে চালানো) আঘাতপ্রাপ্ত ইতিবাচক অন্তর্ঘাতকে পরিণত ব্যবসায়ী সিমোনকে নিয়ে চলেছেন লোকচক্ষুর আড়ালে তাঁর চিকিৎসার জন্য, বাঁচানোর আশায়। এই দ্বিতীয় যাত্রার আখ্যানে ছায়া আছে হোসে রিজালের ‘এল ফিলিবাস্টারিজমো’ (দ্য সবভর্সিভ, ১৮৯১) উপন্যাসের। ছবির শুরু হয় রিজালের হত্যার ঘটনা দিয়েই। যদিও ঘটনাটি ঘটে পর্দার বাইরে (অফ-স্ক্রিন)। অসংখ্য বন্দুকের নলের সামনে ফিলিপিন্সবাসীদের আটকে রেখে স্পেনিয় বন্দুকের সাধারণ উদ্ধত শব্দে শেষ হয়ে যান রিজাল। প্রথম দলটি মৃত রিজালের স্ত্রীর কাছে পরে আশ্রয় পাবে কিছু সময়ের জন্য।
ছবিটা ইতিহাস-রাজনীতি-ধর্ম-সাহিত্য-লোকগাথার মধ্যে দুলতে থাকে। এমনকি শিল্প আর জীবনের তর্কও এসে পড়ে সিমোন আর ইসাগানির বার্তালাপে। আসলে ইতিহাস হোক বা রাজনীতি কী লোকগাথা—প্রকৃত অর্থে তো এগুলো সত্যিই জটিল। জটিল তার বিন্যাস। জটিল তার বিশ্বাস। বিশেষত আমরা যারা ফিলিপিন্সের ইতিহাস জানি না, তাদের কাছে ডিয়াজের চলচ্চিত্রভাষার কাছে আপাতত সমর্পণ করা ছাড়া তাই আর উপায় থাকে না। তাই হয়তো মালয় সংস্কৃতির মাটিজলকে না চিনে তিন অর্ধনারীশ্বর চরিত্রকে শেক্সপিয়রের তিন ডাইনি হিসেবেই শুধুমাত্র পড়ি। (তাই বিশেষজ্ঞ নয়, নিতান্তই একজন সাধারণ চলচ্চিত্রমোদী হিসেবে ভালোলাগা ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টায় এই লেখা।) মৃত বোনিফাসিওর দেহ যখন তাঁর স্ত্রী খুঁজে ফেরেন ‘তখন মনে হয় একটা দেশ যেন তার আত্মাকে খুঁজছে’, যা আর স্পর্শযোগ্যই নয় হয়তো। মৃত বিপ্লবীর বিপ্লবী স্ত্রী যখন বিপ্লবের প্রতি বিশ্বাসঘাতিনীকেও ক্ষমা করতে পারেন, তখন স্পর্শকের স্থানাঙ্ক নির্ণয় শুধু এক রাতপ্যাঁচা সমস্ত ঘটনার নীরব সাক্ষী থেকে করে চলে। ক্ষমাশীলতার ধর্ম ছাড়া বিষাদময় রহস্যের ঘুমপাড়ানি গান কী গাওয়া যায়!
ছবিটার রাজনৈতিক প্রভাব বর্ণনা করে, বোনিফেসিও এবং রিজালের নিখোঁজ মৃতদেহ সম্পর্কে ডিয়াজ এক সাক্ষাৎকারে বলেন: “সাধারণ মানুষকেও অদৃশ্য করে দেওয়া হয়। একটি মৃত নায়ক প্রতি হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিহত হয়। মার্কোস শাসনামলের মতো যে-কোনো দিন যে কেউ নিপীড়িত হতে পারে এবং তাদের শুধুমাত্র সংখ্যায় পরিণত করা হবে, কেবল পরিসংখ্যানে। আজকাল দেশে এমনটা আবার ঘটতে শুরু করছে।”।– এই কথাকে ডুতের্তের শাসনের একটি প্রসঙ্গ হিসেবেও পড়া যেতে পারে, যে, বর্তমান রাষ্ট্রপতি ডুতের্তে ‘লালাবায়’ মুক্তি পাওয়ার বছর ক্ষমতায় এসেছিলেন। এবং এসেই তাঁর নৃশংসতার নজির রাখতে শুরু করেছিলেন বেনজিরভাবে। ডিয়াজের ২০১৮-র ছবি ‘সিজন অফ দ্য ডেভিল’-এ মার্কিন মদতপুষ্ট মার্কোসের পাশাপাশি ডুতের্তের অত্যাচারের প্রতিচিত্রায়ণও করা হয়েছে বলে মনে হয়।
‘আ লালাবায় টু দ্য সরোফুল মিস্ট্রি’ ছবিটা ডিয়াজের অন্যান্য ছবির মতোই এক শট এক দৃশ্য প্রথায় চলে (এর ব্যতিক্রমের কারণ স্পষ্ট নয়, যেমন যে দৃশ্যে সিমোন আহত হয়)। শহর থেকে শুরু হয়ে ক্যামেরা গ্রাম-প্রান্তর পেড়িয়ে পার্বত্য জঙ্গলে আশ্রয় নিয়ে সমুদ্রপোকলবর্তী হয়ে শেষ হয়। ল্যারি ম্যান্ডার ক্যামেরা শান্তভাবে মূলতঃ ওয়াইড লেন্সে (১.৩৩ : ১ পটানুপাতে) চারপাশকে দেখে, চরিত্রদের দেখে। বেশিরভাগ সময়টাই কাটে পার্বত্য জঙ্গলে। এইসব জঙ্গল প্রায় সবসময়ই মেঘ-কুয়াশায় ভরা রহস্যেঘেরা থাকে। পাহাড়-জঙ্গলের সৌন্দর্য বর্ণনার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করা হয় না। জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গাই চরিত্রগুলোর অবস্থান সাজাতে থাকে অপার্থিব সহজতায়। ন্যূনবাদিতা বা সাধারণ প্রাকৃতিক স্থান পশ্চাদ্ভূমি হিসেবে থাকলেও সাধারণ বাস্তববাদ দিয়ে এই ছবিকে পড়া যায় না। আলোকসম্পাত (আলোর কৌণিক অবস্থান, তীব্রতা) যথেষ্ট নাটকীয়। ডিয়াজ বলেন স্মৃতি-যন্ত্রণা-বিষাদকে নাকি মোনোক্রোম সাদা-কালো ছবিতেই ভালোভাবে ধরা যায়। শ্রাব্যতার প্রেক্ষিত থেকে এ ছবি মূলতঃ দৃশ্যানুগ (ডায়াজেটিক)। এ ছবিতে সংলাপ প্রায় ঢেউ-এর মতো আসে। যখন আসে তখন প্রচুর পরিমাণে এসে বাকি সময়কে শূন্য করে দিয়ে যায়। ডিয়াজের অন্যান্য ছবির মতো এ ছবিতেও সংগীত বর্তমান, এমনকি কখনও যন্ত্রানুসঙ্গসহ। ছড়ানো-ছিটানো মনুষ্যলাশের পাশ থেকে আগুনে গিটার নিক্ষেপিত হতে দেখি এই ছবিতে।
পাঠক, একটা বিষয় খেয়াল করুন—যখন স্পেনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধটা লড়ছেন ফিলিপিন্সবাসী, ঠিক সে সময়েই পৃথিবীতে আবির্ভাব হচ্ছে চলচ্চিত্র নামক এক বিনোদন মাধ্যমের। ‘সিনেমা এক অন্য জগৎ দেখায়, একটা ভিন্ন জগৎ’, সেই মানুষটি বলেন যিনি ১৮৯৬-তে ফিলিপিন্সে প্রথম ল্যুমিয়ে সিনেমাটোগ্রাফ দেখান— ডিয়াজের চিত্রায়নে দেখি আমরা। আর এই চলচ্চিত্র মাধ্যমটি ফিলিপিন্সে যে পরিমাণ আক্রান্ত হয়েছে তা উত্তর-ঔপনিবেশিক পৃথিবীতে যথেষ্ট বিরল।
Powered by Froala Editor