দুবছর আগে ভেঙে পড়েছিল জেনেভার সেতু। অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল সেই দুর্ঘটনা। সেইসঙ্গে সমগ্র ইতালিকে স্পষ্ট দুটি অংশে ভাগ করে দিয়েছিল। সেই বিভাজন মেটাতে সময় লেগে গেল দুই বছর। আরও ভয়ঙ্কর এক দুর্ঘটনার কবলে এখন সারা পৃথিবী। নতুন করে বলার কিছু নেই, ঘটনাটি হল করোনা মহামারী। আর এই ঘটনাই আবার এক সুতোয় বেঁধে দিল ইতালিকে। সেইসঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি সিনেমার নাম। ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হলিউডে তৈরি হয়েছিল সেই সিনেমা, 'গুড মর্নিং ভিয়েতনাম'।
মহামারীও তো এক যুদ্ধ। এই রূপকের ব্যবহার করছেন অনেকেই। আর সেই রূপকের কথা মনে আসতেই এই পুরনো সিনেমাটির কথা মনে পড়ে টু সে'স্টো প্রজেক্টের প্রেসিডেন্ট মার্কো মন্টলির। তাই মহামারীর দিনগুলিতে সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত থাকার প্রকল্পের নাম বেছে নিলেন এই সিনেমাটি থেকেই। প্রকল্পের নাম 'গুড মর্নিং জেনেভা'। মূলত একটি ওয়েব টিভি সিরিজ ফর্মে শুরু হলেও ক্রমশ ইতালির মানুষ নিজের নিজের মতো করে আপন করে নিয়েছেন এই প্ল্যাটফর্মটি। সেখানে উঠে আসছে কাজ হারানো মানুষদের কথা। উঠছে গার্হস্থ্য হিংসার কথাও। কোভিড-১৯ তো শুধু একটি শারীরিক অসুখ নয়। মহামারীর সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অনেক সামাজিক অসুখও। সেসবের বিরুদ্ধে লড়াইটা যে লড়তে হবে একসঙ্গেই। টু সে'স্টো তার সেতুটা বেঁধে দিয়েছে কেবল।
'গুড মর্নিং জেনেভা' ইতিমধ্যে ৭ লক্ষ মানুষকে একসঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছে। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ নিয়মিত এই মঞ্চটির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের কথায় দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত স্পষ্ট। আর এই প্রকল্পের সাফল্যে খুশি মন্টলি নিজেও। একটি সিনেমাই যেন বহুবছর পর মানুষদের আবার বাঁচার প্রেরণা দিচ্ছে।