করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সমস্তকিছু দিয়ে লড়াই শুরু করে দিয়েছে কেরালা সরকার। কোনো অস্ত্রই অব্যবহৃত রাখতে রাজি নয় তাঁরা। আর তাই লকডাউনের কারণে পরিত্যক্ত হাউসবোটগুলিকেও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আর সমস্ত আলাপ আলোচনার পর তৈরি হয়ে গিয়েছে এই কাজের ব্লু প্রিন্ট। এখন অপেক্ষা শুধু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের।
সমুদ্রবক্ষে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আলাপ্পুজাহ জেলায় আছে কয়েকশ' হাউসবোট। তার কোনোটা ছোটো, কোনোটা আবার বডড়ো। একেকটি হাউসবোটে দুজন থেকে আটজন ব্যক্তির থাকার ব্যবস্থা করা যায়। আর এই মহামারীর সময়ে এই নৌকোগুলিকেই আইসলেশন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। নৌকো মালিকদের ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাঁরা এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় কালেক্টর এম. অঞ্জনা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি নৌকোকে একটি বা দুটি স্থানে জড়ো করে তাদের আইসোলেশন সেন্টারে পরিণত করা হবে। আপাতত কেবলমাত্র করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদেরকেই রাখা হবে। তবে প্রয়োজন পড়লে সন্দেহজনক রোগীদেরকেও আইসোলেশন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর নৌকোর সংখ্যা দেখে তিনি জানিয়েছেন, এভাবে অন্তত দুহাজার মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে।
মহামারী করোনা প্রতিরোধে ভারত তো বটেই, পৃথিবীর সমস্ত দেশেই প্রশাসন রীতিমতো পর্যুদস্ত। হাসপাতালে রোগীদের রাখারই জায়গা নেই, তার উপরে আইসলেশন এবং কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা রীতিমতো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সংক্রমণ রুখতে এটাই প্রাথমিক পদক্ষেপ। এমন পরিস্থিতিতে কেরালা প্রশাসনের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার মতো। সেইসঙ্গে এমন উদ্যোগ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের প্রশাসনকেও তাদের ভাবনায় সাহায্য করতে পারে। আমাদের অব্যবহৃত এমন অনেক জায়গার সন্ধানই হয়তো বেরোবে, যেসব জায়গার কথা এখনও প্রশাসনের মাথায় আসেনি।