বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে সুন্দরবনের মধু এবার পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও

সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ সে-অঞ্চলের প্রচুর মানুষের জীবিকা। এই কাজ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে বা অন্যান্য কারণে অকালে প্রাণও হারান অনেকে। কিন্তু পেট চালানোর দায়ে সে-কাজ চালিয়ে যেতেই হয়। তবে তাঁদের জন্য সুখবর। পুজোর আগেই বিদেশে রপ্তানি হবে সুন্দরবনের খাঁটি প্রাকৃতিক মধু। 'সুন্দরিনী ন্যাচারালস' নামক সমবায় সংস্থা এটি রপ্তানি করবে। সম্প্রতি তারা ইন্ডিয়া অর্গানিকের রেজিস্ট্রেশন লাভ করেছে। আর এই কাজেই সংস্থাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বণিক সংগঠন 'ফিকি'।

বর্তমানে সুন্দরিনী বছরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করে। যার পুরোটাই খাঁটি মধু। মধু ছাড়া রাসায়নিকবিহীন মিষ্টিও উৎপাদন শুরু করেছে তারা। হাতেগোনা কয়েকটি স্টলে তা পাওয়া যায়। তবে খুব শীঘ্রই ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সংস্থার অধিকর্তা অম্বিকা প্রসাদ মিত্র জানান, বাজারের বহু মিষ্টিতেই রাসায়নিক মেশানো থাকে। কিন্তু সুন্দরিনীর মিষ্টি সম্পূর্ণভাবে রাসায়নিক বিহীন ও প্রাকৃতিক উপাদান তৈরি। তাই এর দামও কিছুটা বেশি।

সুন্দরিনীর মধু ও মিষ্টি বিদেশে রপ্তানির জন্য কয়েকটি রপ্তানিকারক সংস্থা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরে সুন্দরবনের মধু রপ্তানি করা হবে।

তবে যাই হোক, যারা মূল কাজটি করেন, সেই মধু-সংগ্রাহকরা যেন লাভবান হন,  শ্রমের যোগ্য পারিশ্রমিক যেন তাঁরা পান, এটাই চাওয়ার।