বেঙ্গালুরুতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তাঁরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে। আর সেখানেই আটক করা হল ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ’কে। আরও ৩০ জন প্রতিবাদীর সঙ্গে তাঁকে নিগ্রহ করে পুলিশ ও আর্মি। বুধবার সন্ধে থেকেই ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল।
৬১ বছর বয়সি এই ঐতিহাসিক জানিয়েছেন, তিনি মহাত্মা গান্ধীর একটি পোস্টার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সংবিধান নিয়ে কথা বলছিলেন। এই ‘অপরাধ’ ছিল তাঁর। আর এ-কারণেই আটক হতে হল তাঁকে।
নিজের বক্তব্য শেষ করার আগেই এই ঐতিহাসিকের হাত ধরে টানতে থাকে একদল পুলিশ। রামচন্দ্রবাবুর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় কাজ করছে পুলিশ। দেখা যায়, তিনি পুলিশের উর্দিধারী কয়েকজন তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে।
আর এখানেই উঠে আসে কিছু মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন। ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ ও তাঁর সম্মানের কথা কারও অজানা নয়। ভারতের প্রথম সারির ঐতিহাসিকদের একজন তিনি। পুলিশ কোন অধিকারে তাঁকে নিগ্রহ করল, তাও এমন বর্বরভাবে, এই প্রশ্নও উঠছে। প্রতিবাদ করার ‘অপরাধে’ তাঁর মতো বিদগ্ধ মানুষকেও যদি আটক করা হয়, তাহলে দেশের গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে আরেকবার ভাবার সময় এসেছে।
সারা দেশ আজ উত্তাল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। কলকাতায় আয়োজিত হয়েছে মহামিছিল। ধর্ম-দল-রাজনীতি নির্বিশেষে আপামর সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন সেই মিছিলে। গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। উঠে এসেছে রাষ্ট্রের নিপীড়নের দৃশ্যও। এমন পরিস্থিতিতে রামচন্দ্র গুহকে আটক করা সত্যিই গণতন্ত্রের লজ্জা।