ভারতের শেষতম দোকান নিয়ে উন্মাদনা সামাজিক মাধ্যমে

পাহাড়ের গায়েই অতি-সাধারণ একটি দোকান। ভিতরে বসার জায়গা থাকলেও আড়ম্বরহীন তার চেহারা। উপরে নীল সাইনবোর্ডের হিন্দি ভাষায় লেখা ‘হিন্দুস্তান কি অন্তিন দুকান’ (Hindustan Ki Antim Dukan)। সম্প্রতি এই ছবি রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

হ্যাঁ, আক্ষরিক অর্থেই এই দোকান ভারতের শেষতম ‘চা-স্ট্যান্ড’। কেননা চিনের সীমান্ত থেকে তার দূরত্ব মাত্র কয়েক মিটার। ভারতের বুকে সীমান্তের এত কাছাকাছি অবস্থিত দ্বিতীয় কোনো দোকানের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা সন্দেহ আছে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানা গ্রামের ভারত-চীন সীমান্তে গেলেই দেখা মিলবে এই আশ্চর্য দোকানটির। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যার উচ্চতা ৩১১৮ মিটার। 

আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগের কথা। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন সিং বাড়ওয়াল চালু করেন এই দোকানটি। চামোলি জেলার এই অঞ্চলটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক পৌরাণিক কিংবদন্তি। কথিত আছে, এই পথেই স্বর্গলোকে যাত্রা করেছিলেন পাণ্ডবরা। এই পৌরাণিক লোককথার টানে এবং ভারত-চিন সীমান্ত দেখার জন্য প্রতিবছর ভিড় করেন হাজার হাজার পর্যটক। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় তাঁদের বিশ্রাম নেওয়ার কিংবা আহারাদি করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না আজ থেকে তিরিশ বছর আগেও। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগান চন্দন সিং। চা ও ম্যাগির ব্যবসা ফেঁদে বসেন তিনি। ক্রমে এই ছোট্ট দোকানটিই হয়ে ওঠে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। আর তা হবে না-ই বা কেন? ভারতের শেষতম দোকান যে এটিই। তবে পর্যটক ছাড়াও ইতিউতি সেনাদের আনাগোনা লেগেই থেকে এই দোকানে।

সম্প্রতি বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা টুইটারে এই দোকানটির ছবি শেয়ার করেন। আর তারপরেই ঝড়ের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তার ছবি। সেইসঙ্গে বহু মানুষ ভাগ করে নিয়েছেন মানা গ্রামের অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতার কথা। ভারতের একেবারে শেষ প্রান্তে, পাহাড়ের কোলে এমন এক ‘পান্থশালা’-য় বসে চা-পানের আমেজ সত্যিই অনন্য। কী ভাবছেন, এই শীতেই একবার ঢুঁ মেরে আসবেন নাকি উত্তরাখণ্ডের এই গ্রামে?

আরও পড়ুন
প্রয়াত আউশউইটজ যুদ্ধে অংশ নেওয়া শেষতম রুশ সৈনিকও

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
‘Z’ নয়, শেষতম অক্ষর হিসেবে ইংরেজি বর্ণমালায় জায়গা পেয়েছিল ‘J’!