ইলিশের গঙ্গাপ্রাপ্তির দেরি নেই আর

গঙ্গা-পদ্মায় ইলিশের সংখ্যা কমছে বহুদিন আগে থেকেই। আর এর জন্য দায়ী ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত জালের ব্যবহার। মাছ ধরা যাঁদের পেশা, জালের ব্যবহার তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন। যে জাল ব্যাবহার করে মাছ ধরা হয়, তার মধ্যে কিছু অংশ ফাঁকা রাখতে হয়। যাতে সব মাছ জালে না পড়ে, কিছু মাছ যেন বেরিয়েও যেতে পারে। মাছেদের বংশবৃদ্ধির সুযোগ দেওয়ার জন্যই এই নিয়ম। যেমন ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে যে জাল ব্যবহার করা হয়, সেই জাল দিয়ে যেন ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বেরিয়ে যেতে পারে।

কিন্তু নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাছ ধরার ক্ষেত্রে আজকাল ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত জাল। ইলিশ-সহ অন্যান্য দেশীয় মাছের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে, কিন্তু মাছের চাহিদা বেড়েছে বৈ কমেনি। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতেই মাছ ধরতে ব্যবহার করা হচ্ছে মশারি বা কাপড়ের জাল। ফলে মাছ আর জাল থেকে বেরোতে পারছে না। গবেষণায় দেখা গেছে, এই জাতীয় জাল দিয়ে একটি চিংড়ি মাছের ডিম ধরতে গেলে, নষ্ট হচ্ছে  ৪০-৫০টি ইলিশের ডিম।

এই সমস্যা নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। আবেদনও শোনা যাচ্ছে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে। এই জাতীয় জাল ব্যবহার চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধান নদী মৎস্যশূন্যও হয়ে যেতে পারে।