‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’
সেই কবে থেকেই বিজ্ঞানী, ঐতিহাসিক— সবাই এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী। কিন্তু ছাই ওড়াতে ওড়াতে যদি দেখেন আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন তার ঠিক নিচেই মাটির তলায় একটা আস্ত প্রাচীন ঘর লুকিয়ে আছে! কেমন ভ্যাবাচ্যাকা লাগছে না? ঠিক এরকমই ভ্যাবাচ্যাকা লেগেছিল লুসিয়ানো ফাগিয়ানো-র— যিনি ইতালির পুগলিয়ায় একটি রেস্তোরাঁর মালিক।
কীভাবে শুরু হল এই গল্প? সালটা ২০০০। ততদিনে লুসিয়ানো’র রেস্তোরাঁ ‘কুয়ো ভাদিস’ চালু হয়ে গেছে। এমনই একটা সময় কয়েকজন তাঁর কাছে জমা জলের অভিযোগ জানায়। পুরনো জায়গা, হয়ত পাইপের মেরামত করতে হবে। এই চিন্তা করে লুসিয়ানো আর তাঁর তিন ছেলে সেই জমা জলের জায়গাটা খোঁড়ার কাজ শুরু করলেন। প্রায় আট বছর এই কাজ চলার পর, গুপ্তধন হাজির হল! প্রাচীন যুগের একটা আস্ত ঘর এবং প্রচুর প্রত্নবস্তু খুঁজে পাওয়া গেল— যার মধ্যে মিসিসিপি, রোমান সভ্যতার বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গেল। সঙ্গে আরও বহুমূল্য সামগ্রী।
ওই জায়গাটি এখন একটি আধুনিক মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে। ইতালির প্রত্নবিভাগের দায়িত্বে রয়েছে সেটি। তবে লুসিয়ানো-র রেস্তোরাঁও সেখানে আছে বহাল তবিয়তে। খাবার, ইতিহাস, ঐতিহ্য— সবকিছু একসঙ্গে খুঁজে পেতে কুয়ো ভাদিস রেস্তোরাঁ একটা অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
ছবি সৌজন্য - The New York Times