এবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল তেলেঙ্গানাতেও। বঙ্গোপসাগরীয় নিম্নচাপের কারণে একটানা বৃষ্টির কারণে ভাসল হায়দ্রাবাদ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আশঙ্কা আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। রাজ্যজুড়ে তাই আগে থেকেই কঠোর সতর্কতা জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও।
গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। শনিবার বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ট্যাঙ্ক, খাল এবং নর্দমাগুলি উপচে ওঠে। কার্যত বৃষ্টিতে ভাসল ওয়ারাঙ্গাল শহরও। জল জমে যাওয়ায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হলেন বহু মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র। সরবরাহ করা হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী। খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি ফ্লাডসেন্টার।
জয়শঙ্কর ভূপালাপল্লী জেলায় ভেসেছে চাষের জমিও। শনিবার সেখানে ১৪ জন কৃষক পাম্পের সাহায্যে জল বার করার সময় আটকে পড়েন বন্যার কারণে। জরুরি তৎপরতায় তাঁদের হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। পাশাপাশি অন্য জেলাগুলিতেও বন্যা পরিস্থিতির নজরদারি এবং উদ্ধারকার্যের জন্য আগাম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। একটি সেনাবাহিনীর চপারও মোতায়েন করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে ওয়ারাঙ্গল, মুরুগু, ভূপালাপল্লী, করিমনগর, পেদ্দাপল্লী প্রভৃতি অঞ্চলে দু’মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তা গত দু’দিনে হয়েছে। এখনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে অঞ্চলগুলিতে। রাজ্যের মুখ্যসচিব শনিবারই কনফারেন্স রাজ্যের পুলিশকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্তরকম সতর্কতা মেনেই যাতে প্রস্তুত থাকা যায় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। হায়দ্রাবাদে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। যাতে একটিও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে, সেদিকেই নজর রাখছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা...
Powered by Froala Editor