কবিতা
তোমাকে হলো না পাওয়া
নিরলে ছোঁয়ার অনুমতি
হঠাৎ পুড়লে ভাত
কারোরই হবে না কোনো ক্ষতি
শার্টের কলার ঠিক
করে দেবে স্বামীর যখন
তাকে বোলো, ‘চুল খুলে
একবারই পড়ে গিয়েছিল মন
তখন আষাঢ় মাস
বৃষ্টিতে ভিজেছিল হ্রদ
বাড়িতে ফেরার পরে
কাউকেই বলি নি বিশদ’
‘শুধু চুনকালি একা
লাগিয়ে ছিলাম নিজ গায়ে’
নদীতীরে কার জামা
ভেসে গিয়ে ছিল অন্যায়ে—
বোতাম লাগাতে গিয়ে
বলে দিও সবটা যা বাকি
‘মুসলমানের ছেলে
কবিতা লিখতে পারে নাকি—!’
মরে গেলে
মরে গেলে—
কোথাও একটা সাইকেল
থেমে যাবে
হঠাৎ বেলের আওয়াজ
দুপুরের আড়া-জঙ্গল পার হয়ে
ঘুমিয়ে পড়বে
আত্না ফুলের মায়ায়
খাটিয়ায় শুয়ে শুয়ে মনে হবে
আমিকে ভুলিও না, সোনা
যেতে হয় বলেই
মানুষ সাঁকো বানায় নির্জন বিষণ্নতার উপর—
যাওয়া
সেভাবে যেতে পারো, যেভাবে চলে গেলে আবার ফিরে আসা যায়—