বছর খানেক ধরে নিরুদ্দেশ ছিলেন মহিলা। পাড়ার লোকেও সন্দেহ করেছে অনেকসময়। কিন্তু কিছুই জানা যায়নি শেষ পর্যন্ত। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে খুঁজে পাওয়া গেল তাঁকে। হরিয়ানার পানিপথের নিকটবর্তী গ্রামে নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হলেন তিনি। এক বছর ধরে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বাড়ির বাথরুমে।
স্থানীয় মহিলা সুরক্ষা রজনী গুপ্ত খবর পেয়েই নিজের দল নিয়ে পৌঁছে যান সংশ্লিষ্ট বাড়িতে। তাঁরাই উদ্ধার করেন মহিলাকে। নিজের স্ত্রীর প্রতি অমানবিক ব্যবহারের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহিলার স্বামীকে। নিজের অপরাধ স্বীকার করেও নিয়েছেন তিনি।
মহিলার স্বামীর অবশ্য দাবি, তাঁর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। চিকিৎসার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। তাই তাঁকে বন্দি করে রেখেছিলেন। রজনী গুপ্ত অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, মহিলার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কোনো লক্ষন দেখা যায়নি। তবে প্রায় এক বছরের বন্দিদশায় একধরনের আতঙ্ক ও অবসাদ গ্রাস করেছে তাঁকে। খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যদিও মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও তাঁকে বন্দি করে রাখার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার দায়িত্ব নিতে হবে বাকিদেরই। আইনি পথে মহিলা সুবিচার পাবেন বলেই আশা করা যায়। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার প্রয়োজনও বুঝিয়ে দেয় এই ঘটনা।
আরও পড়ুন
একইসঙ্গে অফিস ও সংসার – মানসিক চাপে বিপর্যস্ত কর্মরত মহিলারা
Powered by Froala Editor