২ বছরের মধ্যে ইউএফও-র ছবি তুলে দেখাবেন এই বিজ্ঞানী!

পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও কি মানুষের মতো বা তার চেয়েও উন্নত কোনো প্রাণী বসবাস করে? অর্থাৎ সহজ ভাষায় যাদের বলা হয় ভিনগ্রহী বা এলিয়েন। এমন প্রাণীর অস্তিত্ব অনেকেই বিশ্বাস করেন, অনেকে আবার হেসে উড়িয়ে দেন। বিজ্ঞানীরা তো সচরাচর এইসমস্ত আলোচনায় পাত্তাই দেন না। তবে এবার এই ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব প্রমাণের উদ্যোগ নিলেন এক পদার্থবিজ্ঞানী। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আব্রাহাম আভি লোহেব (Abraham Avi Loeb) দাবি করেছেন, আর কিছুদিনের মধ্যেই ভিনগ্রহীদের বিশেষ মহাকাশযানের (UFO) নিখুঁত ছবি সামনে আনবেন তিনি। হয়তো বছর খানেক বা বছর দুয়েক সময় লাগবে এই কাজে। তবে ছবি যে তিনি নিশ্চিতভাবেই তুলতে পারবেন, সেই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী অধ্যাপক লোহেব।

এলিয়েনের অস্তিত্বে বহু মানুষের বিশ্বাস দীর্ঘদিনের। মূলত কল্পবিজ্ঞান কাহিনি থেকেই এই বিশ্বাসের জন্ম। তবে এখন আমাদের হাতে একটা হলেও প্রমাণ আছে। গত বছর মার্কিন সামরিক সংস্থা পেন্টাগনের পক্ষ থেকে একটি বহু প্রাচীন ছবি সামনে আনা হয়। আর তাতে এলিয়েনের চেহারা দেখা যায়। কল্পবিজ্ঞানের কাহিনির বর্ণনার সঙ্গে সেই চেহারা হুবহু মিলে যায়। তবে অনেকেই আবার এই ছবিতে বিশ্বাস করতে চাননি। তাঁদের মতে, ছবির গুণমান অত্যন্ত খারাপ। এমন একটা ছবিতে দৃষ্টিভ্রম হওয়া স্বাভাবিক। তবে অধ্যাপক লোহেবের দৃঢ় বিশ্বাস, ছবিটি যথার্থই ভিনগ্রহীর ছবি। শুধু উন্নত প্রযুক্তির অভাবে তার উন্নত মানের ছবি তোলা সম্ভব হয়নি।

গতবছরই তাই লোহেব তৈরি করেছিলেন একটি বিশেষ প্রকল্প। নাম রেখেছেন গ্যালিলিও প্রোজেক্ট। এই প্রকল্পে সারা বিশ্বের ১০০ জন বিজ্ঞানী যুক্ত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। পৃথিবীর নানা অঞ্চলে উন্নত দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং ক্যামেরা সাহায্যে চলছে ভিনগ্রহীদের মহাকাশযান বা ইউএফও-র ছবি তোলার কাজ। অধ্যাপক লোহেবের বিশ্বাস, ভিনগ্রহীরা মাঝে মাঝেই পৃথিবীতে ঘুরে যান। তাই তাঁদের মহাকাশযানের ছবি তোলা অসম্ভব তো নয়ই, কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। আর একবার সেই ছবি সামনে এলে বিজ্ঞানের জগতেও এলিয়েনদের নিয়ে আলোচনা শুরু হতে বাধ্য। অবশ্য এলিয়েনে বিশ্বাস নিয়ে এর আগে বহুবার বিজ্ঞানী মহলে বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন অধ্যাপক লোহেব। এবার কি তিনি তাঁর বিশ্বাস প্রমাণ করতে পারবেন? আপাতত সেই উত্তর পাওয়ার অপেক্ষাই চলবে।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১৭১৫টি বসবাসযোগ্য গ্রহ থেকে দৃশ্যমান পৃথিবী, ইঙ্গিত ভিনগ্রহীদের দিকেই?

More From Author See More