নববর্ষ, শিক্ষক দিবস কিংবা জন্মদিন— এসব বিশেষ দিনে গ্রিটিংস কার্ড আদানপ্রদানের রীতি আর নতুন কী? তবে এই প্রচলন এসেছে পাশ্চাত্যের হাত ধরে। ইউরোপ এবং আমেরিকায় বহু বহু বছর আগে থেকেই চলে আসছে বিভিন্ন উৎসবে এই ‘পত্র’ পাঠানোর রীতি। সম্প্রতি মিচিগানের এক ভদ্রমহিলা তাঁর ডাকবাক্সে পেলেন এমনই এক গ্রিটিংস কার্ড। তবে সেই কার্ড দেখেই রীতিমতো চমকে উঠলেন তিনি।
ব্রিটনি কিচ, মিচিগানের এই বাসিন্দা প্রতিদিনের মতোই রুটিনমাফিক লেটারবক্স চেক করতে গিয়েই এক তোড়া চিঠির সঙ্গে খুঁজে পান একটি পোস্টকার্ড। যা পাঠানো হয়েছে হ্যালোইন উৎসবের উদ্দেশ্যে। এই অসময়ে হ্যালোয়িনের কার্ড দেখেই প্রথমে অস্বাভাবিক লাগে তাঁর। পরবর্তী খটকা লাগে তাঁর পোস্টকার্ডটির ব্যাপারে খেয়াল আসতে। কারণ পোস্টকার্ডের প্রচলন তো বহুদিন বন্ধ হয়ে গেছে আমেরিকায়।
তবে এখানেই শেষ ছিল না চমকের। পোস্টকার্ডটি খুলে ব্রিটনি দেখেন, কার্ডটি লেখা হয়েছিল ১৯২০ সালের ২৯ অক্টোবর। তবে চিঠিটি লেখা হয়েছিল রয় ম্যাককুইন নামে এক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে। চিঠির প্রেরক ওই ব্যক্তির আত্মীয়া বোন ফ্লসি বার্গেস। রয় ম্যাককুইনও যে একই ঠিকানায় থাকতেন তা পরিষ্কার চিঠি থেকেই। কিন্তু প্রায় একশতক পরে এই কার্ড তার ঠিকানা খুঁজে পেল, তা-ই একটা রহস্য ব্রিটনির কাছে।
ইতিহাস থেকে এই ‘ডাক’ পেয়ে যেমন আশ্চর্য তেমনই উচ্ছ্বসিত ব্রিটনি। হ্যালোইনের ভৌতিক গন্ধও যেন মিশে আছে এই রহস্যে। সম্প্রতি এই পোস্টকার্ডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। প্রেরক এবং উদ্দিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তাঁদের আত্মীয় এবং উত্তরসূরিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তবে এখনও অবধি সেইভাবে কোনো উত্তর পাননি তিনি। এই অজানা চিঠি পাওয়ার পরে এক নতুন প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন ব্রিটনি...
আরও পড়ুন
‘চাঁদের পাহাড়’-এর প্রতিফলন বাস্তবেও, ৩৫ বছর আগেকার বোতলবন্দি চিঠি উদ্ধার
Powered by Froala Editor