সংস্কৃতি ও উন্নয়নের মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে গুয়াতেমালা। ‘পিন্টান্ডো সান্টা ক্যাটরিনা পালোপো’ প্রকল্প অনুযায়ী লেক অ্যাটিটলানের সান্টা ক্যাটারিনা পালোপোতে স্থানীয় ঘরবাড়িগুলিতে চিত্রাঙ্কন শুরু করেছেন শিল্পীরা। যার উদ্দেশ্য হল মায়া কাকচিকেল সভ্যতার পুনরুজ্জীবন ঘটানো ও গুয়াতেমালার পর্যটন শিল্পের উন্নতি করা।
সান্টা ক্যাটারিনা বিখ্যাত মায়া সম্প্রদায়ের জন্য। মায়া সংস্কৃতি থেকে অনুপ্রাণিত এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাকচিকেল মায়া সংস্কৃতি ও শিল্পের ধরন অনুযায়ী গ্রামের ৮০০টি বাড়ি রং করা হবে।
এই প্রকল্প যার মস্তিষ্কপ্রসূত, তিনি হলেন সাংবাদিক হ্যারিস হুইটবেক। ব্রাজিলের ভিলা ক্রুজেরো ফ্যাভেলা ডাচ চিত্রশিল্পী জেরোইন কুলহাস ও ড্রি উরহানের তুলির ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল শহর। তা দেখেই অনুপ্রাণিত হন হুইটবেক। ২০১৬-তে তাঁদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয় গুয়াতেমালায় কাজের জন্য। স্থানীয় ডিজাইনার দিয়েগো অলিভেরোর সঙ্গে কাজ শুরু করেন তাঁরা। শুরু হয় মায়া সংস্কৃতি ধরে রাখার কাজ। প্রজেক্টের জন্য যে ডিজাইন তৈরি করা হয় তার মধ্যে ছিল মায়া সংস্কৃতির নানা প্রতীক – জ্যামিতিক নিদর্শন থেকে শুরু করে আগ্নেয়গিরি, সমুদ্র, বন্য বিড়াল, পাখি, প্রজাপতি সবই। প্রত্যেক পরিবার পাঁচ ধরনের রং ও ডিজাইন নির্বাচন করতে পারবেন তাদের বাড়ি রং করানোর জন্য। প্রায় ৫০০০ বছর আগের মায়া সভ্যতার মতন রঙের ক্ষেত্রে চুন ব্যাবহার করা হবে বাতাসের আর্দ্রতা ও ছত্রাকের হাত থেকে বাঁচার জন্য।
প্রজেক্টটির জন্য যে পাঁচ কোটি ডলার ফান্ডের প্রয়োজন, তা এখনও জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া গেছে হাতেনাতে। গুয়াতেমালায় পর্যটন ব্যাবসা আরো বেড়েছে। সান্টা ক্যাটারিনায় রেস্টুরেন্ট, হোম স্টে-র সংখ্যা বাড়ছে। আশা করা যায়, এর ফলে তরুণ প্রজন্মের কাছে কাজের সুযোগও বাড়বে।