আর পাঁচজন সাধারণ গ্রাম্য মহিলার থেকে আলাদা করে চেনা যায় না তাঁদের। দুজন অথবা তিনজন একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান জঙ্গলের মধ্যে। হাতে লাঠি। তবুও সাধারণ নন তাঁরা। তাঁদের উপরেই নির্ভর করে আছে ওড়িশার সম্বলপুর জঙ্গলের নিরাপত্তা। ঠিক যেন ইউরোপের উপকথার গার্জিয়ান অফ এঞ্জেলস। ১৫ জন মহিলা মিলেই বন্ধ করেছেন অবৈধ গাছকাটা থেকে চোরাশিকার সবই।
গতবছরই ১৫ জন মহিলাকে নিয়ে গড়ে ওঠে বন সুরক্ষা সমিতি। দৈনিক মজুরি ২৯৮ টাকা। ফলে অভাবের সংসারে খানিকটা নিরাপত্তা আসে। আর নিরাপত্তা আসে জঙ্গলে। বনদপ্তরের কর্তারা বলছেন, এই সময়ে অবৈধ গাছ কাটা এবং চোরাশিকারের ঘটনা কমতে কমতে প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। আর এর মধ্যে বনে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও আর ঘটেনি। এভাবে গিরীশচন্দ্রপুর অরণ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও মহিলা বাহিনী গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে।
সম্বলপুরের গারিয়াখামান গ্রামে মাত্র ৩২টি পরিবারের বাস। তাঁরাও বেশিরভাগ সময় কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। ফলে সমগ্র জঙ্গল বে-আইনি ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। কিন্তু মাত্র ১৫ জন স্থায়ী বাসিন্দাই পুরো চেহারাটা বদলে দিতে পেরেছেন। হ্যাঁ, এভাবেই হয়। আবারও প্রমাণ করলেন এদেশের মেয়েরাই।
Powered by Froala Editor