পৃথিবী থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজের আধিক্য। চলছে অস্বাভাবিক হারে বৃক্ষচ্ছেদন। যার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। ত্বরাণ্বিত হচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং, পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়ারও। কমছে বাতাসের মাণ কমে যাওয়ায় দেখা দিচ্ছে ফুসফুস সংক্রান্ত নানা রোগ। কিন্তু শুধুই কি তাই? এবার বিজ্ঞানীরা জানালেন অত্যাধিক বৃক্ষচ্ছেদন প্রভাব ফেলছে মানুষের মস্তিষ্ক-গঠন, বুদ্ধিমত্তাতেও।
সম্প্রতি বেলজিয়ামের হ্যাসেল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানালেন এমনটাই। বিভিন্ন অঞ্চলের ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী ৬০০ শিশুদের নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছিলেন তাঁরা। স্যাটেলাইট-প্রেরিত ছবির মাধ্যমে রেকর্ড করেছিলেন তাদের বাসস্থানের আশেপাশে সবুজের পরিমাণ। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বিজ্ঞানীরা দেখেন গাছপালার আধিক্যের সঙ্গে সঙ্গে সমানুপাতিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা। তাঁদের গবেষণায় উঠে আসে, শিশুদের পরিবেশে বনভূমির পরিমাণ ৩ শতাংশের বৃদ্ধিতে আইকিউ বেড়েছে ২.৬ পয়েন্ট। বিষয়টির আরও পর্যালোচনা করতে তাঁরা বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডারস অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করেন। সেখানেও দেখেন শিশুদের গড় আইকিউ ১০৫। তবে যারা কংক্রিটের জঙ্গলে বসবাস করে, তাদের ক্ষেত্রে কোথাও কোথাও আইকিউ-এর মান নেমে গেছে ৮০-তে।
এই গবেষণার ওপরেই ভিত্তি করে বিজ্ঞানী টিম নাওরোট জানান, এই ঘটনা স্পষ্ট প্রমাণ করছে সবুজের আধিক্য কিংবা অভাব দুই-ই প্রভাব ফেলছে মানুষের মস্তিষ্কে। সবুজের উপস্থিতি কমিয়ে আনছে মানসিক চাপ। বাড়াচ্ছে স্মৃতিশক্তি এবং মনযোগের ক্ষমতাও। কাজেই শিশুদের মস্তিষ্কের যাতে সম্পূর্ণ বিকাশ হয়, তাদের মস্তিষ্ক যাতে পূর্ণ ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে পারে— সেই পরিবেশ তৈরির জন্যেও সবুজায়নের কথা ভাবা প্রয়োজন...
আরও পড়ুন
মস্তিষ্কেও ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে করোনা ভাইরাস; নতুন গবেষণা ঘিরে চাঞ্চল্য
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কৃত্রিম ক্যামেরা থেকে সংকেত পৌঁছবে মস্তিষ্কে, দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে পারেন অন্ধরাও