তুষার-নেকড়ে নয়, তবে গায়ের রং ধূসর। বসবাসও অনেকটা উত্তরের দিকেই। মেক্সিকো, আলাস্কার ঠান্ডা অঞ্চলে সন্ধান পাওয়া যায় এই ধূসর নেকড়ের। অন্যান্য বন্যপ্রাণী যেখানে নতুন করে সংকটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, সেখানে ধূসর নেকড়ে বা গ্রে উলফের জন্য ২০২০ সাল সত্যিই আনন্দের। প্রায় অর্ধশতাব্দী পর বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকা থেকে বাদ পড়ল এই প্রজাতির নাম।
১৯৭৫ সালে প্রথম বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায় নাম ওঠে গ্রে উলফের। তখন মেক্সিকোতে প্রাণীটির সংখ্যা ছিল ১০০-র কিছু বেশি। বাকি অঞ্চলে প্রায় কোনো অস্তিত্বই ছিল না প্রাণীটির। তখনই শুরু হয় সংরক্ষণের প্রক্রিয়াও। তৈরি হয় ‘এনডেঞ্জার্ড স্পিসিস অ্যাক্ট’ নামের বিশেষ আইন। সঙ্গে চলে স্থানীয় আদিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করে প্রজনন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার কাজও। সব মিলিয়ে এত তাড়াতাড়ি সাফল্য মিলবে, এমনটা আশা করেননি কেউই। তবে সরকারি সমীক্ষা জানাচ্ছে, এখন আর দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। যদিও সংরক্ষণের কাজে গাফিলতি করা চলবে না, সে-কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এবছরের সমীক্ষা বলছে, কেবলমাত্র উত্তর মিনেসোটা এবং মিশিগান উপদ্বীপ অঞ্চলেই এখন ধূসর নেকড়ের সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। আলাস্কায় আনুমানিক ১১ হাজার ধূসর নেকড়ের বাস। অন্যান্য এলাকাতেও সংখ্যাটা বাড়ছে। মাত্র ৪৫ বছরের মধ্যে এই সাফল্য প্রমাণ করে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের সামগ্রিক পরিকল্পনা সত্যিই উন্নত ছিল। যদিও ধূসর নেকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কাছাকাছি প্রজাতির মেক্সিকান নেকড়ে এখনও সঙ্কটের মধ্যেই দিন গুনছে।
Powered by Froala Editor