কলকাতার গ্রাফিটি-চর্চা ও এক পরিত্যক্ত গুদামঘরের গপ্পো

/১৫

একঝলক দেখলে মনে হবে নিউ ইয়র্কের কোনো গলি। আলো আঁধারির মাঝে মায়াবী চিত্রকল্প। কলকাতার বুকেই লুকিয়ে এই অভিনব ‘গ্রাফিটি ওয়্যারহাউজ’। কোথায় বলুন তো?

/১৫

লেক গার্ডেন্স ব্রিজের মুখ থেকে বাঁ-দিকের একটা গলি দিয়ে ঢুকলেই এক আশ্চর্য জগৎ। পরিত্যক্ত গুদামঘর বা ওয়্যারহাউজ। যার গায়ে বিচিত্র গ্রাফিটি।

/১৫

গ্রাফিটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জুড়ে আছে হিপ-হপ সংস্কৃতি। এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। কলকাতার উঠতি হিপ-হপ আর্টিস্টদের আশ্রয় এই ওয়্যারহাউজ।

/১৫

২০১৪-১৫ নাগাদ গড়ে ওঠে এই ওয়্যারহাউজ। শুরুটা হয়েছিল বিট-বক্সিং আর স্কেটবোর্ডিং দিয়ে। মূলত ডিজে ভ্যালির নেতৃত্বে।

/১৫

কেউ কেউ বলেন, আলতামিরার গুহাচিত্রই মানবসভ্যতার প্রথম গ্রাফিটি। কেউ আবার এই চিত্রশৈলীকে মনে করেন ধ্বংসাত্মক।

/১৫

অন্যান্য শিল্পকলার সঙ্গে গ্রাফিটির যে ফারাক রয়েছে, বলাই বাহুল্য। এখানে ক্যানভাস প্রধানত দেওয়াল। আর শিল্পীর হাতিয়ার—চারকোল ব্লক বা স্প্রে পেন্টের ক্যান।

/১৫

প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার ভাষাও গ্রাফিটি। প্রসঙ্গত ভারতে নিষিদ্ধ এই আর্টফর্ম। ফলে শিল্পীরা লুকিয়ে থাকেন ভিড়ের মাঝে। লোকচক্ষুর আড়ালে গজিয়ে ওঠে ছবি।

/১৫

সমস্ত চিত্রশৈলীর মতো গ্রাফিটিরও নানা ধরন রয়েছে বইকি। স্টেনসিল, স্ল্যাপ আর্ট বা ব্লকবাস্টারের নানা নিদর্শন ছড়িয়ে ওয়্যারহাউজে।

/১৫

ছবির নিচে শিল্পীর ‘সিগনেচার’ বা ‘ট্যাগ’। যা কখনো কখনো হয়ে ওঠের ছবির ‘সাবজেক্ট’ও।

১০/১৫

গ্রাফিটির পাশাপাশি, দেওয়ালে ঠাঁই পেয়েছে কার্টুন চরিত্রেরা। প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার আকর কখনো খুঁজে পাওয়া যায় পপ কালচারেও।

১১/১৫

একটা সময় এই ওয়্যারহাউজ গমগম করত হিপহপ শিল্পীদের ভিড়ে। জমে উঠত সাইফার বা র‍্যাপ মিউজিকের আসর। এখন তাঁদের আনাগোনা খানিক অনিয়মিত।

১২/১৫

পরিত্যক্ত ওয়্যারহাউজের পাশেই একটা ভাঙা টেম্পো দাঁড়িয়ে। যার গায়েও আবছা ছবির অংশ।

১৩/১৫

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওয়্যারহাউজের রঙিন দেওয়াল ক্রমশ আবছা। যদিও ওপরের ছাউনি রোদ-জল থেকে ছবিগুলোকে আড়াল করেছে খানিক।

১৪/১৫

বর্তমানে এই গ্রাফিটি ওয়্যারহাউজ ফটোগ্রাফারদের প্রিয় গন্তব্য। স্কুল কলেজের পরে পড়ুয়াদের নিভৃত আড্ডাস্থলও বটে।

১৫/১৫

কলকাতার আনাচে কানাচে, এই বিচিত্র বাড়ির মতো ছড়িয়ে নানা রত্নভাণ্ডার। সময়ের নিয়মে হয়তো যা হারিয়ে যাবে অচিরেই। প্রতিবেদন: ছন্দক গুহ, ছবি: হিয়া ভুঁইঞা

Powered by Froala Editor