গালওয়ানে চিনের সঙ্গে সংঘাতের পরই দেশ জুড়ে আওয়াজ উঠেছিল চিনা পণ্য বয়কটের। সেই সঙ্গে অনেকেই সামনে এনেছিলেন চিনা অ্যাপগুলির মাধ্যমে তথ্য চুরির অভিযোগ। পাশাপাশি এই আবহেই সাইবার আক্রমণের পিছনেও হাত ছিল চিনের। ফলে জোরালো হয়েছিল সেই অভিযোগ। তার ভিত্তিতেই এবার চিন বয়কটের পথে হাঁটল দিল্লি। ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র সরকার।
বহুদিন আগে থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জমা পড়ছিল বেশ কিছু। ভারত-চিন সংঘর্ষের পর বাড়ছিল নালিশের তালিকাও। বিষয়টি খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে টিকটক, শেয়ার-ইট, ইউসি ব্রাউসার, হ্যালো, শাওমি কম্যিউনিটি, ক্যাম স্ক্যানার-সহ বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি নামও। অ্যাপগুলি অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস দুটি প্ল্যাটফর্মেই বন্ধ করা হয়েছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান করা। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সমস্ত টেলিকম সংস্থা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের জানানো হয়েছে অ্যাপ নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করতে। ডেটা এবং ট্রাফিকিং ব্লক করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে যাঁদের মোবাইলে আগে থেকেই ইনস্টল আছে অ্যাপগুলি, সেগুলি ডেভেলপার সাপোর্ট পাবে না এরপর থেকে।
সামরিকক্ষেত্রের পাশাপাশিই বাণিজ্যিকভাবেও চিনকে আঘাত করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। সেই পরিকল্পনারই এটি প্রথম ধাপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করছেন, অ্যাপগুলি বন্ধ করার মধ্য দিয়েই প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে জোরালো বার্তা পাঠাল সরকার।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে, বড়-সড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে চিনা সংস্থাগুলি। বেশ কিছু অ্যাপের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্ষেত্র বিশেষে ৫০ থেকে ১৫০ কোটি পর্যন্ত। বন্ধ হবে তা থেকে চিনের উপার্জন। সেই সঙ্গেই ভারতে এই অ্যাপগুলির নিষিদ্ধকরণের প্রভাব পড়বে অন্যত্রও। অন্যদিকে ভারতীয় বাজারে বড় ধাক্কা খেল শাওমি। নিষিদ্ধের তালিকায় তাদেরও কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশনের নাম থাকায় দেখা দিচ্ছে তাদের বিক্রি কমার আশঙ্কা।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
কলকাতার ‘দেবতা’ হয়ে উঠেছিলেন এই চিনা ব্যক্তি, টেরিটিবাজারে আজও রয়েছে মন্দির