'হায়ারোগ্লিফিক', শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পিরামিডের দেশ মিশরের কথা। আর সেই পিরামিড এবং ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য নিদর্শনের গায়ে আঁকা থাকে নানা পশুপাখির ছবি। না, নিছক ছবি নয়। এগুলো আসলে অতি প্রাচীন লিপি। সংকেতের মাধ্যমে লিখে রাখা হত নানা কথা। তবে পঞ্চম শতকে শেষ পেগান গির্জাটি ধ্বংস হওয়ার পর আর সেই লিপি পড়তে পারেন এমন মানুষ কেউ রইলেন না। শেষে ১৮২০ সালে জাঁ ফ্রান্সিস চ্যাম্পলিয়ন সেই লিপির পাঠোদ্ধার করলেন। তবে তারপরেও কেবল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঐতিহাসিকরাই পড়তে পারেন সেই লেখা।
কিন্তু এবার আর নয়। মিশর ঘুরতে যাওয়া সমস্ত পর্যটকই এবার পড়ে দেখতে পারবেন প্রতিটা লেখা। তাছাড়া কোনো ছবি থেকেও তার অর্থ বুঝতে পারবেন। আর এই সুযোগ নিয়ে আসছে গুগল। গুগল ট্রান্সলেটরের অনেক ভাষার মধ্যে এবার যুক্ত হতে চলেছে হায়ারোগ্লিফিক লিপিও। ফলে মিশরীয়দের প্রতিটা কথাই বুঝতে পারবেন নিজের ভাষায়।
গুগলের ইতিহাসের জন্য তৈরি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশান ফ্যাব্রিশিয়াস নিয়ে আসতে চলেছে এমনই সুযোগ। তবে এখনও উদ্যোগ প্রায় ভ্রূণাবস্থায় আছে। তবে একদল মিশর বিশেষজ্ঞকে নিয়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে প্রাথমিক কোডিং। আর মিশর বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স উড জানিয়েছেন খুব শিগগিরই এই কাজে সাফল্য আসতে চলেছে। অন্তত এক হাজার ছবিকে নির্দিষ্ট কোডিং সিস্টেমের মাধ্যমে পাঠযোগ্য করে তুলবেন তাঁরা। আর তখন মিশরের রহস্যময় ইতিহাসের অনেকটাই সাধারণ মানুষের বুদ্ধির মধ্যে প্রবেশ করবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখবেন কোথায়? হদিশ দিচ্ছে গুগল ম্যাপই