ঠিক যেন সোনার নদী। ভেসে যাচ্ছে আমাজনের গহীন অরণ্যের বুক চিরে। তাহলে কি এতদিনে খুঁজে পাওয়া গেল এল-ডোরাডো? নাসার ছবি ঘিরে ঠিক এই প্রশ্নই উঁকি দিয়েছে অনেকের মনে। তবে অবশেষে সেই রহস্য প্রকাশ করলেন নাসার বিজ্ঞানীরাই। আর যে তথ্য তাঁরা জানালেন, তা মোটেও সুখবর নয়।
সম্প্রতি নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে আসলে আমাজনের জঙ্গলের স্বাভাবিক নদীর ছবিই তোলা হয়েছে। তবে তার জল এবং কাদার মধ্যে মিশে থাকা সোনার উপর সূর্যের আলো পড়ায় চকচক করে উঠেছে। আর এই সোনার উৎস হল বে-আইনি খনি। পেরুর দক্ষিণ-পূর্বে মাদ্রে-দি-দিয়স অঞ্চলে বে-আইনি সোনা পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। আর উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় অনেক অংশই মিশে যায় জলের মধ্যে।
শুধুই সোনা নয়, সেইসঙ্গে জলে মিশছে পারদ। সোনা শনাক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয় পারদ। আর এর ফলে মাছ ও মানুষের তো বটেই, গাছেদেরও যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে। তার সঙ্গে খনি অঞ্চলে বৃক্ষছেদন তো আছেই। সব মিলিয়ে পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে এই বে-আইনি উত্তোলনের ফলে।
পেরু প্রশাসনের হিসাব বলছে, অরণ্য অঞ্চলের ৩০ শতাংশই বে-আইনি খননকার্যের ফলে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর এই কাজে জড়িয়ে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। তবে এখনও পর্যন্ত তাদের দমন করার বিষয়ে তেমন কোনো সাফল্য মেলেনি। মানুষের অতিরিক্ত মুনাফার নেশা এভাবেই গিলে খাচ্ছে প্রকৃতিকে।
Powered by Froala Editor