মেয়েদের স্বাধীনতা সেখানে নেই। নানা বিষয় রয়ে গেছে বাধা-নিষেধ। সাইকেলে বসে স্বপ্নের উড়ানও দিতে পারে না তারা। হ্যাঁ, সেটা নিয়েও রয়েছে ‘ট্যাবু’। কিন্তু যারা উড়তে চায়, তাদের কি কোনো কাঁটাতারের শাসন আটকে রাখতে পেরেছে? সাইকেল বারণ তো কী হয়েছে, স্কেট তো আছে! সেটাই হয়ে গেছে মুক্তির নতুন পথিক। আফগানিস্তান হয়ে গেছে ‘স্কেটিস্তান’…
এইভাবেই নিঃশব্দে মুক্তির আনন্দ ছোঁয়ার যাত্রায় নেমেছে আফগান মেয়েরা। তাঁদের নিয়েই ক্যারল ডাইসিঙ্গার তৈরি করেছিলেন শর্ট ফিল্ম ডকুমেন্টারি ‘স্কেটবোর্ড ইন আ ওয়ারজোন (ইফ ইউ আর আ গার্ল)’। সম্প্রতি ৯২তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড (অস্কার)-এর মঞ্চে সেরা শর্ট ডকুমেন্টারির পুরস্কার পেয়েছে এটি। এখানেই উঠে এসেছে স্কেটবোর্ডের মাধ্যমে একটা বিপ্লব নিয়ে আসা ‘স্কেটিস্তান’ সংগঠনটির কথা। সেই সঙ্গে এসেছে আফগান মেয়েরাও।
যখন প্রথম আনা হয়, তখন সেটা কী জিনিস, বোঝেইনি অনেকে। তার ওপর আছে নিষেধাজ্ঞার কোপ। যে কোপ সারাজীবন ওই মেয়েদের সঙ্গে চলেছে। সেখান থেকেই ছবিটাকে ঘোরানোর চেষ্টা করে স্কেটিস্তান। সালটা ২০০৭। সেই সময় থেকে কাজটি সহজ ছিল না। কিন্তু স্বাধীনতার নেশা একবার চেপে গেলে, তখন আর আমাদের পায় কে! এই আফগান মেয়েদের বেলাতেও এমনটাই ঘটল। ট্যাবু ভাঙার চেষ্টা শুরু হল। এটা তাঁদের কাছে নিছক খেলার জিনিস নয়।
নানা সময় নানা ফটোগ্রাফার, সাংবাদিকরা এসেছেন এখানে। যুদ্ধবিধ্বস্ত জায়গায় একসঙ্গে হাতে হাত রেখে এই মেয়েরা এভাবে নিজেদের স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে রেখেছে, সেটাই সাহস দেয় অনেককে। এরা পড়াশোনা শুরু করেছে; চাকরি ও অন্যান্য কাজকর্মও শুরু করেছে। অস্কারের মঞ্চও সাক্ষী থাকল সেই নিঃশব্দ বিপ্লবের।