বাড়ির দরজার সামনে লেখা একটি নাম। কেউ লেখেন কোনো প্রিয় কবিতার, কেউ বা কোনো দেবদেবীর নামে। আবার বাড়ির কর্তার নামেও বাড়ির নাম দেখা যায় অনেক সময়। কিন্তু সেই নাম যদি হয় বাড়ির ছোট্ট মেয়েটির নামে? দেখলে সত্যিই অবাক হতে হয়। আর আরও বেশি করে অবাক হতে হয় যদি এই দৃশ্য দেখা যায় দেশের নারীবিদ্বেষের জন্য কুখ্যাত একটি এলাকায়? হ্যাঁ, অবাক হতেই হয় উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগর জেলার বাড়িগুলির সামনে গেলে।
সম্প্রতি দেশজুড়ে একাধিক ঘটনায় উঠে আসছে পিতৃতন্ত্রের কদর্য চেহারা। আর এর মধ্যে বিহারের মুজফফরনগর জেলায় ঘটে গিয়েছে একাধিক নারীনিগ্রহের ঘটনা। তবে এর মধ্যেই দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বাড়ির সামনে লেখা বাড়ির ছোট্ট মেয়ের নাম। কোনো বাড়ির নাম কমলা নিবাস, কোন বাড়ি মনীষা নিবাস। আর এই সবটাই সম্ভব হয়েছে জনমানসে সচেতনতা প্রকল্পের ফলেই। সরকারি হিসাব অনুযায়ী নারী কল্যাণ বিভাগের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের আওতায় ২০০-র বেশি বাড়ির নাম বদলে রাখা হয়েছে। যাঁদের বাড়িতে কোনো ছোটো মেয়ে নেই, তাঁরা বাড়ির অন্য কোনো মহিলা সদস্যের নামে নাম রাখছেন। আর বেশিরভাগটাই ঘটেছে অর্থনৈতিকভাবে একেবারে পিছিয়ে পড়া মানুষদের মধ্যেই।
শুধু উত্তরপ্রদেশেই নয়। দেশের সর্বত্রই এই প্রকল্প গভীর ছাপ ফেলেছে। মুজফফরনগরের দেখাদেখি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও দেখা গিয়েছে একই দৃশ্য। এমনকি উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য জেলাতেও একই প্রকল্পের অবতারণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সে-রাজ্যের নারী কল্যাণ বিভাগ। দেখা গিয়েছে প্রতিটি এলাকাই কমবেশি পিতৃতন্ত্রের কদর্য চেহারার সাক্ষী। এই পরিস্থিতিতে এমন ছোটো ছোটো উদ্যোগই নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখায়।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পিতৃতন্ত্রের গোড়ায় আঘাত পাঞ্জাবের ব্যবসায়ীর, জন্ম নিল 'গুপ্তা অ্যান্ড ডটার্স'