ধরুন, পরিবারকে নিয়ে সার্কাসে এসেছেন আপনি। নানারকম কসরত এবং খেলার পর হঠাৎ আপনার সামনে হাজির হল মস্ত দুটো হাতি। তাদের খেলা দেখানো হলে এল ঘোড়া। একসময় হাজির হল বাঘও। কিন্তু সার্কাসে তো জন্তুদের দেখানো বারণ। তাহলে এত জন্তু কোথা থেকে আসছে? ব্যাপার হল, আপনি সামনে যাদের দেখছেন, তারা কেউই আসল জন্তু-জানোয়ার নয়। সবই হলগ্রাফিক, অর্থাৎ থ্রিডিতে। চোখের সামনে থাকা বিশেষ পর্দায় তারা উঠে আসছে।
বহু বছর ধরে চলা সার্কাসের অন্যতম এই আকর্ষণের এত আধুনিক রূপ এর আগে দেখা যায়নি। সেটাই করে দেখিয়েছে জার্মানির সার্কাস রনক্যাল্লি। আসল জীবজন্তু সরিয়ে তাঁরা নিয়ে এসেছে থ্রিডি জন্তু। সার্কাস এরিনা ঘিরে থাকা ১০৫ ফুটের বিশেষ স্ক্রিনে ফুটে উঠবে যাবতীয় পশু। সেইসঙ্গে থাকবে মানানসই মিউজিক। পুরো ৩৬০ ডিগ্রি ভিউই পাবেন দর্শকরা। ফলে, পুরো মজাটা উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। এর পাশাপাশি অন্যান্য খেলাও থাকবে এখানে।
১৯৭৬ সাল থেকে সার্কাসের আসরে পরিচিত নাম রনক্যাল্লি। হঠাৎ এমন একটা প্রয়াস কেন? বিশ্বের নানা জায়গাতেই সার্কাসে বন্য জন্তুদের রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেটা সঙ্গত বলেও মনে করেন এই সার্কাসের কর্তৃপক্ষ। ‘বন্যেরা বনে সুন্দর’— এই কথাতেই বিশ্বাসী তাঁরা। কিন্তু দর্শকদের অনেকেই এদের দেখতেই আসতেন। তাই বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেছেন তাঁরা। নিয়ে এসেছেন সম্পূর্ণ নতুন একটি জিনিস, যা এর আগে সার্কাসে হয়নি। আধুনিকতার এমন ব্যবহারে উচ্ছ্বসিত দর্শকরাও। ইতিমধ্যে ভাইরাল এই সার্কাস। হয়ত আরও নতুন নতুন জিনিস এরপর দেখতে পারব আমরা। আর বন্য জন্তুরাও রেহাই পাবে।