বিশ্রী নয়, একের পর এক উল্কাপাতে সত্যিই সুন্দর হয়ে উঠতে চলেছে আজ রাতটা। ২০২০ সালের সবচেয়ে বড়ো এবং দৃষ্টিনন্দন উল্কাবৃষ্টির সাক্ষী থাকতে পারে শহর কলকাতাও। আর যেহেতু আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে আকাশও পরিষ্কার থাকবে, তাই সেদিকে চোখ রাখতেই হবে। রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকেই শুরু হচ্ছে জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার বা মিথুন উল্কাবৃষ্টি। চলবে সোমবার ভোররাত পর্যন্ত।
যদিও এই উল্কাবৃষ্টির সঙ্গে মিথুনরাশির কোনো সম্পর্ক নেই, জানাচ্ছেন বিড়লা তারামণ্ডলের অধিকর্তা দেবীপ্রসাদ দোয়ারি। তবে যেহেতু আকাশের একদিক থেকেই সমস্ত উল্কা ধেয়ে আসে তাই একটি নক্ষত্রমণ্ডলের নামে উল্কাবৃষ্টির নামকরণ করা হয়। প্রতি বছরই ডিসেম্বরের শুরু থেকে উল্কাবৃষ্টির নানা ঘটনা ঘটে। তবে যেহেতু এবছর সামনেই অমাবস্যা, এবং আকাশও মেঘমুক্ত থাকবে, তাই উল্কাবৃষ্টি আরও ভালোভাবে দেখা যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার রাত থেকেই উল্কাবৃষ্টি শুরু হলেও সোমবার রাত ১টা থেকে ২টো সবচেয়ে বেশি উল্কাপাত হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সময় ঘণ্টায় ১৫০টি পর্যন্ত উল্কাপাত হতে পারে। প্রতি বছর ডিসেম্বরের শুরুতে সৌরজগতের সবচেয়ে বেশি ধূলিকণা অধ্যুষিত অঞ্চলে প্রবেশ করে পৃথিবী। নানা ধূমকেতুর ফেলে দেওয়া আবর্জনা প্রবেশ করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। আর এর ফলেই বাতাসের সঙ্গে ধূলিকণার ঘর্ষণে আগুন জ্বলে ওঠে। আকাশের বুকে হঠাৎ জ্বলে ওঠা এই আগুনকেই বলে উল্কা। অনেকে আবার একে ‘তারাখসা’ও বলে থাকেন।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী উল্কাপাতের দিকে তাকিয়ে কোনোকিছু চাইলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। তবে এই উল্কাবৃষ্টি ২০২০ সালের মহামারী পরিস্থিতি থেকে পৃথিবীকে মুক্তি দেবে কিনা জানা নেই, কিন্তু এমন একটা দৃষ্টিনন্দন মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারা সত্যিই আনন্দের। কলকাতাবাসী তথা সমস্ত ভারতীয়দের জন্য তাই এ এক সুখবর। এমনকি কেউ যদি রবিবার রাতে এই দৃশ্য দেখতে নাও পান, তাহলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সোমবার সন্ধ্যার পরেও কিছু উল্কাপাত দেখা যাবে বলেই জানাচ্ছেন দেবীপ্রসাদ দোয়ারি।
আরও পড়ুন
শূন্য শহর ঢেকে গিয়েছে কালো ছাই আর ধোঁয়ায়, সকালের আকাশেও কমলা রঙের ছোপ
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দাবানলের ছাই ঢেকেছে চারদিক, ক্যালিফোর্নিয়ার আকাশের রং এখন লাল