চার দশকের বৃহত্তম অর্থনৈতিক ধস, মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে নেমে এল দেশের জিডিপি

গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখেই ২১ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। তারপর ধাপে ধাপে বেড়েছে সেই লকডাউনের মেয়াদ। তার জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছিল দেশের অর্থনীতি। একাধিক দেশি ও বিদেশি সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, নিম্নমুখী হতে পারে অর্থনীতির গ্রাফ। দেশের আয় মাইনাস ১৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তবে বাস্তব চিত্র শেষ অবধি তার থেকেও খারাপ অবস্থায় গিয়ে দাঁড়াল।

সোমবার প্রকাশিত হল চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিনমাসের জিডিপি। জাতীয় পরিসংখ্যান রিপোর্ট অনুযায়ী যা নেমে এসেছে মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে। লকডাউনের জেরে লক্ষাধিক মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাঁদের আবার উপার্জনের পথে ফেরানোর জন্য একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা একরকম বিফলে গেছে, তাই উঠে এল জিডিপি’র রিপোর্টে।

উৎপাদন, হোটেল-ইন্ডাস্ট্রি এবং পরিকাঠামো— এই তিন ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক রকমের কমেছে আয়। উল্টোদিকে খানিকটা হলেও কৃষিক্ষেত্র ধরে রেখেছে দেশের অর্থনীতিকে। গত চার দশকে এত বড়ো অর্থনৈতিক মন্দা এই প্রথম।

মহামারীর সংক্রমণের ঠিক আগেই ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের বার্ষিক আয় ২.৮ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নিত করার উদ্দেশ্য নিয়েছিল সরকার। সেই আশাতে কার্যত জল ঢেলে দিল নতুন অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান। বিশেষজ্ঞদের মতে জিডিপি যে হারে কমেছে, সেই ঘাটতি পূরণ করাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতে পারে চলতি বছরে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্টারেস্ট রেটে ১১৫ বেসিক পয়েন্ট কমিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না মন্দার পরিস্থিতি। দেশজুড়ে এই অর্থাভাব যে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা বলাই বাহুল্য...

আরও পড়ুন
লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব আর বেসরকারিকরণ; অর্থনীতি কি দিশাহীন হয়ে পড়ছে ক্রমশই?

Powered by Froala Editor

Latest News See More