দিল্লির সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এক নারী। সঙ্গে রয়েছে নিজস্ব দেহরক্ষী। মির্জাপুরের সাংসদ তিনি, কাজেই তাঁর সুরক্ষা নিশ্চিত তো করতেই হবে। যাওয়ার পথে লক্ষ্য করছিলেন, একটি অটো বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁদেরকে অনুসরণ করছে। কী ব্যাপার? বোঝার আগেই অটো থেকে নেমে এল তিনজন। কালবিলম্ব না করে ওই নারীর দিকে তাক করল বন্দুক। সাংসদ ম্যাডামকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হলেন দেহরক্ষী। কিন্তু কিচ্ছু হল না। ততক্ষণে ঝাঁঝরা হয়ে গেছেন তিনি। আহত সাংসদকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। দেহরক্ষী বেঁচে গেছেন; কিন্তু আসল মানুষটার দেহ থেকে চলে গেল জীবনের শেষ স্পন্দনটুকু। দিনটা ছিল ২৫ জুলাই, ২০০১ সাল। গোটা দেশের সংবাদমাধ্যম পৌঁছে গেল ঘটনাস্থলে। ওই নারী যে সাংসদের থেকেও অনেক বেশি কিছু! ‘ফুলন দেবী’— নামটাই সবকিছু বলে দেয়। আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার আর দরকার আছে!…
ফুলন দেবীকে ঠিক কীভাবে বর্ণনা করা যায়? একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত? একজন দায়িত্ববান সাংসদ? এসব তো তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছেই; তবে বেশিরভাগ মানুষের কাছে তিনি একজন নেত্রী। আরও ভালো করে বললে, নারী নির্যাতনের জ্বলন্ত প্রতিবাদ। যার আগুনে জ্বলেপুড়ে গিয়েছিল দেশের পিতৃতন্ত্র, জাতিভেদ ব্যবস্থা। ফুলন দেবীরা কি একদিনে তৈরি হন? একদিনেই কি হাতে তুলে নেন বন্দুক? নিশ্চয়ই নয়। কারণ জানতে গেলে চোখ রাখতে হবে ফুলন দেবীর জীবনের দিকে। যে জীবন তাঁর একার নয়, আরও হাজার হাজার ভারতীয় নারীর শরীরের কালশিটে, রক্তমাখা দাগেরও বটে…
বিগত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে আছে উত্তরপ্রদেশ। হাথরাসের দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করা, তারপর হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যু, অতঃপর পরিবারের লোকদের থেকে প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে গমক্ষেতের ভেতর নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া। শুধু একটা ঘটনাই নয়, একের পর এক অত্যাচার, ধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে এই রাজ্য থেকে। এবং অদ্ভুতভাবে প্রতিবার দেখা গেছে প্রশাসনের মেরুদণ্ডহীনতা এবং জাতপাতের ঘৃণ্য পরিণতি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন ফুলন দেবীও। উত্তরপ্রদেশের ছোট্ট একটি গ্রাম ঘুরা কা পুরওয়া। সেখানেই এক দলিত মাল্লা সম্প্রদায়ের ঘরে জন্ম হয় ফুলনের। ছোটো বোনের সঙ্গে কষ্টের মধ্যেও বেড়ে উঠছিলেন তিনি। এমন সময় পরিবারে শুরু হল ঝড়।
নিজের বলতে বাবার ছিল একটি নিমের বাগান। ঠিক করেছিলেন, এই বাগানের গাছ বিক্রি করে যা পয়সা পাবেন, সেসব জমিয়ে দুই মেয়ের ভালো করে বিয়ে দেবেন। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফুলনের বড়ো ভাই মায়াদিন। ছলে বলে কৌশলে যে করেই হোক এই জমি দখল করবে সে এবং তাঁর বাবা, ফুলনের আপন জ্যাঠা। তখন আর কতই বা বয়স ফুলনের! কিন্তু ভেতরের আগুন সেদিন থেকেই জ্বলেছিল। প্রতিবাদ করে বাবার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেদিনের ছোট্ট ফুলন। ব্যস, পিতৃতন্ত্রের রক্তে আঘাত লাগে! এরপরই ছলনা শুরু করে মায়াদিন। তখন ১১ বছর বয়স ফুলনের। মায়াদিন তাঁর জন্য বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে হাজির হয়। পাত্রের বয়স ৩০ বছর, নাম পুট্টিলাল। প্রায় জোর করেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় ফুলনের। এরপরই শুরু হয় অত্যাচারের কাহিনি…
শ্বশুরবাড়িতে চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শিশু ফুলনের ওপর প্রায় চেপে বসে পুট্টিলালের শরীর। তারপর চলত ভোগ করা। সহ্য করতে না পেরে বাড়িও ফিরে গিয়েছিলেন; কিন্তু সবার ওই একই ভয়— সমাজ কী বলবে! কোনোকিছু না ভেবে একদিন শ্বশুরবাড়ি পুরোপুরি ত্যাগ করেন ফুলন। চলে আসেন গ্রামে, বাবার পাশে দাঁড়িয়ে জমির জন্য লড়াই শুরু করেন নতুন করে। গ্রামের লোকেরা অকথা, কুকথা ছড়াতে থাকে তাঁর নামে। কিন্তু অতসব ভাবলে কি চলে! কিন্তু ফুলন জানতেও পারলেন না, এই সবকিছুর সুযোগ নিচ্ছিল দাদা মায়াদিন। ফুলনকে শায়েস্তা করার এই সুযোগ। একদিন মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেন কিশোরী ফুলনকে। তিনদিন কারাযন্ত্রণা ভোগ করেন তিনি। কিন্তু সেখানেই নিষ্কৃতি ছিল না। একে মেয়ে, তার ওপর দলিত— সমাজের সবার নজর যে তাঁর দিকেই! দলিতদের বাঁচার অধিকার আছে নাকি। শরীরটাকে নিয়ে যা খুশি করো, কেউ কিচ্ছু বলবে না! ফুলন স্বপ্নেও ভাবেননি, যে পুলিশরা আমাদের রক্ষা করে, যে উর্দিকে মানুষ সম্মান করে; সেই উর্দিই তাঁর সম্মান কেড়ে নিল। তিনদিন ধরে জেলের ভেতরেই ধর্ষিতা হন ফুলন দেবী। পুলিশ নয়, যেন রাষ্ট্রই ভোগ করছে এক দলিত কিশোরীর দেহ…
তিনদিনের এই কারাবাসই ফুলনকে তৈরি করে ‘ফুলন দেবী’ হিসেবে। ভেতরের আগুন তখন লাভা হয়ে ফেটে পড়তে চাইছে। কারাবাসের পর গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হল না তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ফুলন যোগ দিলেন ডাকাতদলে। হলেন ‘ফুলন দেবী’। কিন্তু সেখানেও পিছু ছাড়ল না নিয়তি। ওই ডাকাতদলের নেতা ছিলেন বাবু গুজ্জর। যেমন নিষ্ঠুর, তেমনই লোভ। যথারীতি তার নজর পড়ে ফুলনের ওপর। পুলিশের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে এসেছিলেন ডাকাতদলে; কিন্তু সেখানেও ধর্ষণ! বাবু গুজ্জরের হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হতেন ফুলন দেবী। রাগে ফেটে পড়তেন, কিন্তু কী করবেন তিনি! উপায় কী!
আরও পড়ুন
পরিবারের সামনেই ধর্ষিত হন দলিত মেয়েরা; দিনবদলের স্বপ্ন নিয়ে বিহারে লড়াই স্মিতার
উপায় এল একদিন। ডাকাতদলে বাবু গুজ্জরের পরেই স্থান ছিল বিক্রম মাল্লা। নিজেও দলিত; তার ওপর চোখের সামনে এক কিশোরীকে নির্যাতিত হতে দেখছেন। একটা সময় গিয়ে আর স্থির থাকতে পারেননি বিক্রম। বাবু গুজ্জরকে শাস্তি পেতেই হবে, আর তিনিই দেবেন সেই শাস্তি। একদিন বিক্রমের হাতেই তাঁর ভবলীলা সাঙ্গ হল। ফুলনের মনে হল, এই প্রথম যেন কেউ তাঁর কথা ভাবল। তাঁকেই যেন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করল। শুধু তাই নয়, বিক্রম ডাকাতদলের নেতা হওয়ার পর একটা নতুন রেওয়াজ চালু হল। যা ধনসম্পত্তি লুঠ করা হত, তা স্থানীয় গরীব ও দলিতদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন বিক্রম মাল্লা। ফুলনের মনে হল, এই মানুষটাই যেন সবার রক্ষাকর্তা হয়ে উঠে এসেছেন। তাঁকেও তো অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন! সেই শুরু দুজনের একসঙ্গে পথ চলা। একটা সময়ের পর দুজনেই স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন। এবার বোধহয় জীবনটা একটা সমতল রাস্তা দেখল…
মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। ডাকাতদলের ভেতরেই ছিল শ্রীরাম নামের এক ডাকাত। সে জাতিতে ঠাকুর সম্প্রদায়ের। উত্তরপ্রদেশের সামাজিক মানচিত্রে ঠাকুররা বেশ উঁচু জায়গায় থাকত; তাঁদের প্রতিপত্তিও ছিল অনেক বেশি। মাল্লা ডাকাতদের মধ্যে থাকলেও সেই রক্ত থেকে মুক্ত হয়নি শ্রীরাম। ডাকাতদলের ভেতরে থেকে গোপন খবর পুলিশে পাচার করত। তাও তাঁর ওপর ভরসা হারাননি বিক্রম। এই দলিত ডাকাতদের মধ্যে থেকে নিজের জাত খোয়াতে রাজি নয় শ্রীরাম। ফলে একটা সময় কোপ পড়ল খোদ বিক্রমের ওপর। তাঁকে হত্যা করে ফুলনের কাছে পৌঁছে যায় শ্রীরাম। তারপর নিয়ে যায় উত্তরপ্রদেশের অন্য একটি গ্রাম বেহমাই-তে।
শ্রীরাম কৌশলে প্রচার করে দেয়, এই ফুলনই বিক্রমকে হত্যা করে পালিয়ে এসেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়রা এক দলিত মহিলার এত প্রতাপ সহ্য করতে পারছিলেন না। ঠাকুররাই প্রধান, তাঁরাই আসল, তাঁদের দেহেই উচ্চবর্ণের রক্ত বইছে। আর এই দলিতরা এসে কিনা যাতে উঠতে চাইছে! তাঁরা উঠে এলে যে সমাজের ‘প্রবল ক্ষতি’! অতএব, আবারও ভোগ করো ফুলনকে। ২৩ দিন ধরে ফুলনকে ধর্ষণ করা হয়। ওই কদিন তাঁর কোনো হুঁশ ছিল কিনা, তিনি নিজেই বলতে পারেননি। কিন্তু যখন পালিয়ে এলেন সেখান থেকে, তখন মনে হল আর নয়। এবার এর একটা বিহিত করতে হবে। বিক্রম নেই তো কি হয়েছে! তাঁর কাছ থেকেই অস্ত্রশিক্ষা পেয়েছেন ফুলন দেবী। এবার এই ঠাকুররাও দেখবে, একজন নারীর আগুনের জোর কত। ফুলন দেবী কী জিনিস, দেখার যেন তৈরি থেকো উত্তরপ্রদেশ…
আরও পড়ুন
‘হাথরাসে কোনো ধর্ষণই হয়নি’, খবর ঘোরাতে পিআর এজেন্সিকে বরাত ইউপি সরকারের?
বাকি গল্পটা যেন রূপকথা। ফুলন দেবী, মান সিং, বাবা মুস্তাকিম একসঙ্গে হয়ে তৈরি করেন নতুন একটি ডাকাতদল। তখন তাঁর একটাই লক্ষ্য, ঠাকুরদের খুঁজে বের করা। যারা বিক্রমকে মেরেছে, ফুলনের মতো আরও বহু মেয়ের সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছে বারবার, দলিতদের উঠতে বসতে রক্তাক্ত করেছে— সেই উচ্চবর্ণের বাবুদের লাশ ফেলে দিতে হবে। ১৯৮১ সাল। ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎই চলে এল সেই সুযোগ। বেহমাইয়ের একটি বিয়েবাড়ির আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন শ্রীরাম, সঙ্গে আরও এক শাগরেদ। খবর পেয়ে দলবল নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান ফুলন দেবী। গায়ের রক্ত গরম হয়ে গেল। এই সেই মুখগুলো, যারা তাঁর জীবনটাকে ভোগ করেছে। বিয়েবাড়িতে উপস্থিত ২২ জন ঠাকুরকে লাইন দিয়ে দাঁড় করান। হাতে তখন উদ্যত বন্দুক চকচক করছে। তারপরই গুলির শব্দ। মাটির ওপর পড়ে রইল শ্রীরাম-সহ ২২ জন ঠাকুরের লাশ। জন্ম নিলেন ‘ডাকাতরানি’…
ফুলন দেবীর নাম যেন ত্রাস সৃষ্টি করল সমাজে। সেই সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভি.পি.সিং। এই ঘটনার পর তিনি নিজেই পদত্যাগ করেন। গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ফুলন দেবীর নাম। পুলিশের তরফ থেকে মাথার দাম ঘোষণা করা হয়। তখন যেন ফুলন দেবীরই রাজত্ব চলছে সেখানে। দলিতদের মসিহা তিনি, রবিনহুড! আর উচ্চজাত ঠাকুরদের দুঃস্বপ্ন। সাধারণের কাছে তিনি ডাকাত নন, দেবী দুর্গার আরেক রূপ! পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজেও তাঁর টিকিরও সন্ধান পায়নি। শেষ পর্যন্ত অন্য উপায় অবলম্বন করল তারা। সবার প্রথমে ফুলনের মা-বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর ডাকাতদলের একেক সদস্যকে হত্যা করতে থাকে। সেই রাষ্ট্রযন্ত্র। ফুলনের ওপর যখন নির্যাতন করা হয়েছিল, তখন এঁরা কোথায় ছিলেন? তখন কি দরজা জানলা বন্ধ ছিল সবার? দলিতরা অত্যাচারিত হলে তখন কোনো বিচার নেই?
রাগ যেন বেড়েই চলছিল। কিন্তু পুলিশও চুপ করে বসে ছিল না। উপায়ান্তর না দেখে ফুলন ঠিক করেন তিনি আত্মসমর্পণ করবেন। ১৯৮৩ সাল। খাকি পোশাক, মাথায় বাঁধা লাল কাপড়। ফুলন দেবীর এমন ছবি ভারতের ইতিহাসে জায়গা করে নেয়। তারপর দীর্ঘ ১১ বছরের কারাবাস। কোনো বিচার হয়নি তাঁর। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পেয়ে নিজের প্রতিবাদের রাস্তা বদলে নেন ফুলন দেবী। ডাকাতি নয়, রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হন তিনি। ১৯৯৯ সালে মির্জাপুর থেকে সাংসদও নির্বাচিত হন। জঙ্গল ছেড়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন ডাকাতরানি। গর্বিত তাঁর পদক্ষেপ, চোখে সেই তেজ…
আরও পড়ুন
ধর্ষণ শুধুই যৌনাঙ্গ-নির্ভর নয়; যৌনতার ভাষা শিখতে হবে প্রথমে : মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়
বেহমাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পর ঠাকুররা ফুলন দেবীর ওপর একপ্রকার ক্ষুব্ধই ছিল। শেষ পর্যন্ত পেয়ে গিয়েছিল সুযোগ। ২০০১ সাল। দিল্লির রাস্তা ডাকাতরানির রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। হত্যাকারী তিনজন ছিলেন সেই ঠাকুর সম্প্রদায়েরই। দলিতদের ‘বাড়াবাড়ি’ সহ্য করবেন না তাঁরা। কিছুতেই না…
আজ যখন উত্তরপ্রদেশের মাটি একের পর এক মেয়ের রক্তে লাল হয়ে উঠেছে, তখন বারবার ফুলন দেবীকে মনে করছেন দলিতরা। ওই লাল ফেট্টি যেন বিপ্লবেরই প্রতীক! সময় এগিয়েছে, বিজ্ঞানের ঢেউ ধীরে ধীরে গ্রাস করছে আমাদের। আধুনিক ভারত, ডিজিটাল ভারতে দাঁড়িয়েও জাতিভেদ, দলিত-হত্যা, বাল্যবিবাহ, কন্যাসন্তান হত্যা এবং সবশেষে ধর্ষণ— ঘটেই চলেছে। ফুলন দেবী কি চুপ থাকতেন? আবারও বন্দুক তুলে নিতেন না হাতে? ছুটে যেতেন না ওই মানুষগুলোর পাশে?
তথ্যসূত্র-
১) ‘দস্যুরানি ফুলন দেবী: গণধর্ষণের প্রতিশোধ নেয়া এক রবিনহুডের গল্প’, ফারজানা তাসমিন পিঙ্কি, রোর বাংলা
২) ’২৩ দিন ধরে গণধর্ষণ, তবুও দমেননি, ফুলনদেবীর বিদ্রোহ ছিল পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে আওয়াজ’, তপন মল্লিক, এশিয়ানেট বাংলা
Powered by Froala Editor