‘অশান্ত ভারত।’ গত কয়েক বছরে দেশের পরিস্থিতি দেখে, এমন কথা বারবার উঠে এসেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্বজ্জনদের মুখে। ধর্মীয় হানাহানি, উগ্র সাম্প্রয়াদিকতা তো আছেই, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে সার্বিক এক অবনমন। অথচ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে হিন্দু-মুসলমান যে প্রতিবেশী, তা ভুলতে বসেছেন অনেকেই।
কিন্তু যারা আসলেই প্রতিবেশী, তাঁরাও কি হানাহানিতে মেতেছেন? কখনও হ্যাঁ, কখনও না। ‘না’-এর পাল্লা ভারী হলে দেখতে পাওয়া যায় আশার আলো। সম্প্রতি একটি খবরে পাওয়া গেল তেমনই আশা।
কর্নাটকের হুবলি এলাকার একটি গ্রামে, একই মণ্ডপে পালিত হয়েছে গণেশ চতুর্থী ও মহরম। হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই জড়ো হলেন একই মণ্ডপে। অংশ নিলেন পরস্পরের ধর্মীয় আচারে। প্রার্থনা করলেন একই ছাদের তলায়।
তাঁদের বক্তব্য, গ্রামের প্রায় ৪০০০ মানুষ বছরের পর বছর ধরে মিলেমিশে বসবাস করছেন। সামাজিক কাজও করেন একসঙ্গে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই একই মণ্ডপে গণেশ চতুর্থী ও মহরমের আয়োজন করেছিলেন তাঁরা।
তবে শুধু একবার লোকদেখানোর জন্যেই নয়। হোলি, দীপাবলি, ঈদ সমস্ত উৎসবেই উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ যোগদান করেন, আনন্দ করেন। তাঁদের কথায়, গ্রামে তাঁরা শুধু প্রতিবেশী নন, ভাই ও বন্ধুও বটে।
এই ভার্তৃত্ববোধ টিকে থাক। অশান্ত দেশের অশান্ত মুহূর্তগুলিতে, বিদ্যুতের মতো ছিটকে আসুক কর্নাটকের এই গ্রামের উদাহরণ। সচেতন করুক সবাইকে। সুস্থতা না এলে সামগ্রিক উন্নতি আসবে কী করে!