বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করবে ছত্রাকের ট্যাবলেট, বাড়াবে মাটির গুণগত মানও

ধান বা অন্যান্য কোনো শস্য চাষের পরে ফসল কাটা হয়ে গেলে, সেই জমিকে আবার অন্য কোনো ফসল ফলনের যোগ্য করে তোলার সহজ উপায়ই হল অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলা। তবে লক্ষ লক্ষ টন ফসলের জৈববর্জ্য পোড়ানোর ফলে মারাত্মকভাবে দূষিত হয় বায়ু। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিশা দেখাল ভারতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (আইএআরআই)। আর সমাধান? তা হল ছত্রাকের ট্যাবলেট (ফাঙ্গি ট্যাবলেট)।

সম্প্রতি আইই-র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আইএআরআই-এর বিজ্ঞানীরা জানান, ছত্রাকের সহায়তায় ফসলের অবশিষ্টাংশের দ্রুত বিয়োজন সম্ভব। তাঁদের তৈরি এই ‘পুসা ডেকম্পোজার’ আসলে চারটি ট্যাবলেটের সেট। যেগুলি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ছত্রাকের স্ট্রেন থেকে। যা ফসল কাটার পর অবশিষ্ট ধানের খড় তুলনামূলক দ্রুত হারে পচাতে সক্ষম। খড় কাটার পর এই ট্যাবলেটগুলির একটি দ্রবণ স্প্রে করলেই মিটবে সমস্যা। জৈববর্জ্য দহনের দরকার পড়বে না আর।

ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে জমিকে আবার চাষযোগ্য করে তুলতে কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় লাগে। ফলে ধান চাষের পর ওই জমিতেই গম ফলনের প্রস্তুতির দেরি হয়ে যায় অনেক সময়ই। ‘পুসা ডেকম্পোজার’ ব্যবহারের ফলে এই সময়ই হ্রাস পাবে অন্ততপক্ষে ২৫ দিন। পাশাপাশি ছত্রাকের মাধ্যমে এই বিয়োজনের ফলে বৃদ্ধি পাবে মাটির গুণমানও। আর খরচও সাধারণের হাতের মধ্যেই। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একর প্রতি মাত্র ৩০০ টাকা খরচ হবে ফসলের অবশিষ্টাংশ বিয়োজনে। কমবে কায়িক শ্রম এবং আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও।

অভিনব এই আবিষ্কারকে ইতিমধ্যেই স্বাগত জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লি-সহ দেশেরঅন্যান্য অংশেও ভয়ঙ্কর দূষণ এবং ধোঁয়াশা বেড়ে যাওয়ার এমন সহজ সমাধান  সত্যিই প্রশংসনীয়...

আরও পড়ুন
দক্ষিণ ভারতের পাঁচটি নদীর দূষণ আটকাতে প্রকল্প; ‘নমামি গঙ্গে’ কি আদৌ সফল?

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
চালু হবে একাধিক নতুন রুট, দূষণ রোধে ট্রামেই ভরসা প্রশাসনের