উত্তরোত্তর বেড়েছে ডিজেলের দাম। ফলে বাসের ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়েছিল বেসরকারি বাস মালিকরা। তবে যাত্রীদের দুর্ভোগ কাটাতেই ব্যবস্থার মোকাবিলায় নেমেছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বাসপিছু মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বাস মালিকদের। তার বদলে অপরিবর্তিত রাখতে হবে ভাড়া। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভিজল না শেষমেশ। আজ থেকে রাস্তায় নামছে না বেসরকারি বাস, জানিয়েছে বাস অ্যাসোসিয়েশন।
গতকাল বাস মালিকদের সংগঠনের পক্ষ একটি বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাস মালিকরা অভিযোগ জানান, রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভাজনের পরিস্থিতি। সরকারের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র কলকাতার বাস মালিকদেরকেই অনুদানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। বঞ্চিত হচ্ছে অন্যান্য জেলার কর্মীরা। তাঁদের দাবি পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে এক্ষেত্রে।
পাশাপাশি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং করোনা আবহের জন্য অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে হিমশিম অবস্থা তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত অনুদানে সেই ক্ষতিপূরণ হওয়া সম্ভব হচ্ছে না, জানিয়েছেন তাঁরা। অসন্তুষ্ট বাস মালিকরা জানাচ্ছেন, পুরোপুরি যাত্রী নিয়ে বাস চললেও এই অনুদান তাঁদের পক্ষে যথেষ্ট নয়।
রবিবার সন্ধেতেই বাস সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, যতদিন ভাড়ার কোনো যথার্থ সমাধান হচ্ছে না, বাস নামাবে না রাস্তায়। এই দাবিতে আজ পরিবহন দপ্তরে দ্বারস্থ হওয়ার কথা তাঁদের। উল্লেখ্য, বাস-মিনিবাস পুরোপুরিভাবে চালানোর অনুমতি দিলেও করোনা আবহে রাস্তায় হাজার দুয়েকের বেশি বেসরকারি বাস-মিনিবাস দেখা যায়নি কলকাতায়। এবার বন্ধ হচ্ছে সেই পরিষেবাও। ফলে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে, দেখা দিয়েছে সেই আশঙ্কাই।
আরও পড়ুন
বাস-মালিকদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা, ১ জুলাই থেকে চালু হতেও পারে মেট্রো
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বাস-ট্রামের পর চালু হওয়ার পথে লোকাল ট্রেনও, আশায় নিত্যযাত্রীরা