একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের কাছে অন্যতম একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হল ইলেকট্রিক। ইলেকট্রিক নেই মানে টিভি, পাখা, আলো কিছুই জ্বলবে না। এমনকি, মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে এলে ভরসা ইলেকট্রিকই। অথচ শুধু ভারতেই নয়, বহু দেশেই কারেন্ট চলে যাওয়া যেন স্বাভাবিক ঘটনা। তাই ক্রিসমাস এবং নববর্ষকে স্বাগত জানাতে ফ্রান্সে আলো জ্বলল গরিব মানুষের ঘরে। বিনিময়ে কেটে দেওয়া হল সরকারি অফিস, পুলিশ স্টেশন এবং বিভিন্ন বড় বড় ব্যবসায়ী সংস্থার বিদ্যুৎ।
পর্যাপ্ত কারেন্ট না পাওয়ার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই স্ট্রাইক করছিলেন ফ্রান্সের ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং গ্যাস কর্মীরা। ফলে, অন্তত উৎসবের দিনগুলিতে সাধারণ মানুষ যেন আলো থেকে বঞ্চিত না হন, সে-ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। ইলেক্ট্রিসিটি অফ ফ্রান্সের বদান্যতায় এমন সম্ভব হয়েছে বলেই জানান তাঁরা।
কর্মীদের দাবি, পর্যাপ্ত ইলেকট্রিক সমস্ত ঘরেই পৌঁছানো দরকার। শক্তিকে ব্যবহার করে যে তড়িৎ উৎপন্ন হয়, তা পাওয়ার অধিকার দেশের সকল মানুষের। যদিও বিভিন্ন পাব্লিক সেক্টর ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে এই ঘটনা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
ইলেক্ট্রিসিটি পেতে আন্দোলন করছিলেন এসএনসিএফ(রেলওয়ে), আরএটিপি(মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি)-র বহু কর্মী। পাশে পেয়েছিলেন জাতীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিভাগের বহু শিক্ষক এবং ছাত্রদেরকেও।
উৎসবের দিনে গরিব মানুষের ঘর আলোকিত করার এই উদ্যোগের জন্য কোনো প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। শুধু, ‘সুষম বন্টন’ হোক সারাবছরই, প্রয়োজনে অন্যান্য জায়গা থেকে বিদ্যুৎ বাঁচানো হোক – এটুকুই চাওয়ার।