রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সাফল্য অর্জন করেছে তারা। অন্যদিকে আতঙ্ক উস্কে দিচ্ছে ফরাসি বিজ্ঞানীদের একটি দল। সম্প্রতি ফরাসি অণুজীব বিশেষজ্ঞ আরনড ফরটানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ২০২১ সালের আগে করোনা ভাইরাসের ১০০% কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়ার সম্ভবনা প্রায় নেই।
যে-কোনো ভাইরাসঘটিত রোগের প্রতিষেধক তৈরিতে কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যায়, এমন দাবি বিজ্ঞানীরা আগেও করেছেন। ফরটানে সেই কথাই আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন। সেইসঙ্গে জানালেন, আগামী বছরের মধ্যে এই ভাইরাসের কোনো সম্পূর্ণ কার্যকর প্রতিষেধক প্রস্তুত করা গেলে তিনি রীতিমতো অবাক হবেন। অবশ্য কিছু আংশিক কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস যেহেতু মানুষের জমায়েত থেকেই সংখ্যা বৃদ্ধি করে, তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ আটকানোই সবথেকে বড় প্রশ্ন। সেখানে সাফল্য মিলতে সময় লাগবে।
গত সপ্তাহেই ফ্রান্সে নতুন করে করোনা পরিস্থিতি আটকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেদেশের সরকার। অবশ্য সেক্ষেত্রে দেশব্যাপী লকডাউনের পরিবর্তে বিশেষভাবে চিহ্নিত অঞ্চলগুলির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ভারতেও সার্বিক লকডাউন শিথিল হয়ে এলেও পশ্চিমবঙ্গ এবং কর্ণাটকে চিহ্নিত স্থানে নতুন করে শুরু হয়েছে কড়াকড়ি। অর্থাৎ একই পথে হাঁটছে দুই দেশ। করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে দুদেশেই নানা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও সেই অর্থে সাফল্য মেলেনি।
তবে ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ভারতের মানুষ। প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা নতুন রেকর্ড তৈরি করছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই আমেরিকার এমআইটি-র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রতিষেধক তৈরি না হলে ভারতে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩ লক্ষের গণ্ডি ছুঁতে পারে। এই সব সতর্কতা মিলিয়ে আতঙ্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে। তাই আপাতত মানুষের হাতে রইল শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। এভাবেই এখন আটকাতে হবে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া।
Powered by Froala Editor