বিশ্বের প্রায় সাত হাজার আদিবাসী ভাষার প্রতি ১০টির মধ্যে ৪টি ভাষাই আজ বিলুপ্তির পথে। এমনটাই দাবি জাতিসংঘ নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, আদিবাসী ভাষায় কথা বলা মানুষদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক আচরণ তার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী জাতিসত্তা নীতি।
ভাষা মানুষের মর্যাদা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, মত প্রকাশ ইত্যাদির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই জাতিসত্তা নীতি কেবল সংস্কৃতি নয়, মানুষেরও ক্ষতি করতে পারে। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বক্তব্য, আদিবাসী ভাষার যে ক্ষতিসাধন হয়েছে তা পূরণ করতে প্রায় দশ বছর সময় লাগবে।
জাতিসংঘের নির্দেশিকায় বলা আছে, পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তের আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ তাঁদের ব্যবহৃত ভাষা ব্যবহার, পুনরুজ্জীবন ও তার উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ওই নির্দেশিকার আওতায় রয়েছে শিক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও আদিবাসীদের পরিচালিত সংগঠনগুলিও।
‘আমরা জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলিকে আদিবাসীদের সহযোগিতায় আইন, নীতি ও অন্যান্য উপায়ের মধ্যে দিয়ে তাদের ভাষার স্বীকৃতি, সুরক্ষা ও প্রচারের আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দ্বিভাষিক ও মাতৃভাষায় শিক্ষা ও অন্যান্য জনসেবার প্রয়োজনে সদস্যদের সমর্থনের আবেদন জানাচ্ছি।’ – বক্তব্য বিশেষজ্ঞদের।