আজ থেকে যদি বছর পাঁচেক পিছিয়ে যাই, তাহলে দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়া দেশের ছবিটা একেবারেই শান্ত নয়। অতিবাম আন্দোলনের সক্রিয়তা তখন রীতিমতো ভয়ের উদ্রেক করেছিল। শুধুই রাষ্ট্র নয়, ভয় পেয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। কিন্তু ২০১৬ সালে শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতার রাস্তা তৈরি হয়। তবে এই সমঝোতা কি কেবল রাজনৈতিক চুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে? উত্তর হল, না। বরং কলম্বিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনা আমাদের দেখিয়ে দেয়, ২০১৬ সালের ঘটনা পরিবেশ সুরক্ষাতেও পথ দেখাতে পারে।
গনগোরা এবং তাঁর সহযোগী বিজ্ঞানীরা সেদিনই ঠিক করেছিলেন রেভোলিউশনারি আর্মড ফোর্সের প্রাক্তন গেরিলা যোদ্ধাদের যদি বিকল্প কাজে লাগানো যায়। আর এই ভাবনা থেকেই জন্ম নিল একটি পরিকল্পনা। বিজ্ঞানীরা ভাবলেন, জঙ্গলকে বাঁচাতে গেলে তো জঙ্গলকে জানতে হবে। আর যাঁরা এই জঙ্গলের মধ্যে জীবনের একটা বড় সময় কাটিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের থেকে বেশি করে আর কে চিনবেন জঙ্গলকে? আর তাই শুরু হয়েছে নতুন উদ্যোগ 'পিস উইথ নেচার'।
মাত্র গত বছরেই আগুন লাগে আমাজন জঙ্গলে। আর তারপর থেকেই বারবার উঠে আসতে থাকে দক্ষিণ আমেরিকার ক্রান্তীয় বনভূমির সংকটের কথা। তবে বিজ্ঞানীরা কাজ শুরু করেছেন বেশ কিছু বছর আগেই। কিন্তু সভ্য জগৎ থেকে গিয়ে অরণ্যের সংকট বোঝা তো সহজ নয়। আর তাই তাঁদের পথ দেখাচ্ছেন প্রাক্তন গেরিলা সেনারা। হয়তো এভাবেই সময়কে বদলাবার নতুন পাঠ নিতে শুরু করেছেন তাঁরা।
Powered by Froala Editor