কর্নাটকের সিদলাঘাট্টা। বেআইনি ভাবে জমি দখল করতে এসেছেন গ্রামের একদল লোক। তাঁদের মুখোমুখি মহিলা ফরেস্ট অফিসার। প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন গ্রামবাসীরা। জমি দখলের জন্য নিয়ে এসেছেন ট্রাক্টরও। কিন্তু অফিসার ও তার সঙ্গীরা তাদের জমি দখল করতে দেবেন না। ট্রাক্টরের সামনে দাড়িয়ে সদর্পে বললেন, জমি দখল করতে হলে তাঁর মৃতদেহের ওপর দিয়ে যেতে হবে। ওপাশ থেকে আসে পাল্টা হুমকি, তাদের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার। কেরোসিনও ঢালা হয় তাতে। কিন্তু মাথা নোয়াননি তিনি। শেষমেষ গ্রামবাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
উপরের ঘটনাটি কর্নাটকের সিদলাঘাট্টার ফরেস্ট অফিসার শ্রীলক্ষ্মী এইচ এসের। তিনি যখন প্রথম বর্ধন্যকানহলির ওই জমিতে গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা করেন, তখন গ্রামবাসীরা ওই জমি তাঁদের চাষের জমি বলে দাবি করে তাঁকে বাধা দেন। কিন্তু তিনিও দমে যাবার পাত্রী নন। সমস্ত তথ্য ও উপগ্রহ চিত্র দেখে জানতে পারেন, গ্রামবাসীদের বলা কথা মিথ্যে। ওই জমিতে কোনোদিনই চাষ হয়নি। বিষয়টি তহসিলদারের নজরে আনলে তিনি নির্দেশ দেন বনদপ্তরের কর্মী কিংবা গ্রামবাসী কেউই ওই জমিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। নির্দেশ অন্যান্য করেই গ্রামবাসীরা ৩০ আগস্ট ওই জমিতে চাষ করা শুরু করেন। জমিতে লাগানো গাছ কেটে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপরেই ঘটে আসল ঘটনা। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের গাড়িতে আগুন লাগাবার চেষ্টা করে। এরপরের ঘটনাটা তো সবারই জানা। শ্রীলক্ষ্মীর দৃঢ়তায় পিছু হটে গ্রামবাসীরা।
নিজের জীবন বিপন্ন করে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে গেলেন তিনি। কুর্নিশ না জানিয়ে উপায় নেই!