ব্ল্যাক হোল— বিশ্বের সমস্ত বিজ্ঞানীদের কাছে যা আজও এক অপার রহস্য। সেই কবে থেকে কত মানুষ গবেষণা করে চলেছেন এই বিষয়টি নিয়ে। তাকে ভেবেছেন, তাকে বিশ্লেষণ করেছেন। এমনই একটি জিনিস যার থেকে আলোও বেঁচে ফিরতে পারে না! আলোকেও নিজের ভেতরে টেনে নেয় সে। তাই তো এর নাম ‘ব্ল্যাক হোল’! নিজের থেকে আলো বিকিরণ করে না এই মহাজাগতিক বস্তুটি। সত্যিই কি তাই? এমনই প্রশ্ন তুলে দিল সাম্প্রতিক একটি পর্যবেক্ষণ। আর তা নিয়েই নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্যালাক্সিতে (১ইএস ১৯২৭+৬৫৪) এই বিশেষ সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেয়েছেন আমেরিকার এমআইটির পদার্থবিদরা। যেখানে প্রথমবারের জন্য ব্ল্যাক হোল নিজে নিজেই আলোর একটি উৎস তৈরি করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই পুরো ব্যাপারটা ৪০ দিনের একটি চক্রের আকারে ঘটছে। যেখানে ব্ল্যাক হোলের একদম বাইরের অংশ বা করোনায় আলোর বিকিরণ দেখা যাচ্ছে। আর সেই আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আমাদের চোখে দেখা আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সঙ্গে মিলে যায়! যা এর আগে হয়নি। এটাই বিজ্ঞানীদের কাছে চমকপ্রদ লাগছে।
এমআইটি’র বিজ্ঞানীদের আরও বক্তব্য, এই আলোর পরিবর্তন হয়ত কয়েক লক্ষ বছর ধরে হতে থাকবে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে কয়েকশো বছর অন্তর অন্তরই এটির প্রাবল্য বদলে যাচ্ছে। যা তাঁদের অবাক করেছে। কিন্তু এই ব্ল্যাক হোলের বাইরে এমন আলো দেখা যাচ্ছে কেন? অন্যান্য উপাদানগুলি তো ভালোভাবেই মজুত আছে সেখানে! বিজ্ঞানীরা এখনও কোনো কারণ খুঁজে পাননি। গবেষণা এখনও চলছে। তবে এমন একটা ব্যাপার নিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত বোধ করছেন পদার্থবিদরা। ব্ল্যাক হোলের রহস্য আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল, আরও বেড়ে গেল হিসেবের জটিলতা, বেড়ে গেল বিজ্ঞানের অ্যাডভেঞ্চার, তাতে সন্দেহ নেই।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
এখনও পর্যন্ত সূর্যের নিকটতম ছবি, ক্যামেরাবন্দি করল কৃত্রিম উপগ্রহ