কোভিড-১৯ এর জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতির চিত্রটা সারা বিশ্বের কাছেই এই মুহূর্তে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট। বলা হচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ও কাজ হারানোর ফলে বিশ্বে প্রতি মাসে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় ১০,০০০ শিশুর। পাশাপাশি, অপুষ্টি এবং ক্ষুধার্তের সংখ্যাটাও তীব্র।
জানা গেছে, প্রতি মাসে পাঁচ লক্ষেরও বেশি শিশু অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। সরু সরু পা, বেঢপ আকৃতির পেটের গঠন— এই শিশুদের সংখ্যাটা গতবছরের তুলনায় বেড়েছে আরও ৬.৭ মিলিয়ন। এই রোগ শারীরিকভাবে তো বটেই, মানসিকভাবেও কাবু করে ফেলছে এদের। যার প্রভাব পরবর্তী প্রজন্মের উপরেও পড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
আজ থেকে কয়েক বছর পরেই তা সমাজে প্রতিফলিত হতে চলেছে। সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে এর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বলছে এমন কথাই। খাদ্যের চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে সংগতি না থাকায় অদূর ভবিষ্যতে লাতিন আমেরিকা থেকে দক্ষিণ এশিয়া, আফিকার বহু মানুষ হতে চলেছেন অপুষ্টির শিকার। গোটা বিশ্বের ২০ মিলিয়ন অধিবাসীর মুখে জুটবে না খাদ্য।
সোমবার প্রকাশিত এই রিপোর্ট থেকে আরও জানা গেছে, কোভিড পরিস্থিতির জেরে খাদ্যের সংকুলান করতে পারছেন না কাজ হারানো অনেকেই। শেষ কয়েক দশকের তুলনায় সারা বিশ্বজুড়ে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাটাও তাই পাল্টাচ্ছে আচিরেই। সারা বিশ্বের প্রায় ৪৫ শতাংশ মৃত্যুই এই মুহুর্তে ঘটছে অপুষ্টির কারণে। কাজেই পৃথিবী কবে সুস্থ হবে, তার উত্তর আপাতত অজানাই।
Powered by Froala Editor