বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই তিস্তা, তোর্সা-সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য নদীগুলো ফুঁসছিল। ভেসেছিল আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, সেভক, তিস্তা বাজারের একাধিক অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। তবে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছিল। গতরাতে উত্তরবঙ্গ এবং ভুটানে তুমুল বৃষ্টির জেরে আবার ফুলে-ফেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গের নদীগুলি। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল ডুয়ার্স।
সোমবার রাত থেকেই বৃষ্টির জলে ডুবেছিল উত্তরবঙ্গের নিচু অঞ্চলগুলি। মঙ্গলবার সকালে নদীর স্রোতে ভেসে গেল ৩১ নং জাতীয় সড়কের জুরন্তি সেতু। পাশাপাশি ওলদিবাড়িতেও লিস নদীর তোড়ে ভেঙে গেল ৭৯ নং রেলসেতু। একদিকে যেমন এই সেতু ভেঙে পড়ায় রেলপথের সংযোগ নষ্ট হল, তেমনই অন্যদিকে ছিল বাসরুটেও সমস্যার তৈরি হল। যার জেরে পুরোপুরি শিলিগুড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল ডুয়ার্স। ডুয়ার্সের পাশাপাশি শিলিগুড়িতেও ১ নং ওয়ার্ডের একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৃষ্টিতে।
যদিও মাল মহুকুমা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার আরেকটি বিকল্প পথ রয়েছে কাজলডোবা হয়ে। কিন্তু তা অনেকটাই ঘুরপথ। তাছাড়াও অভয়ারণ্যের মধ্যে দিয়ে এই রাস্তা হওয়ায় বন্যপ্রাণীর যাতায়াত লেগেই থাকে। ফলে রাতের বেলায় এই রাস্তা ব্যবহৃত হয় না যোগাযোগের জন্য।
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির এই আকস্মিক অবনতিতে প্রাণ গেছে দু’জনের। মাল থানার পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৩১ নং সড়ক দিয়ে একটি কলাবোঝাই ভ্যান যাচ্ছিল। বন্যার জেরে ব্রিজ ধসে পড়ায় ভেসেছে সেই গাড়িটিও। গাড়ির চালক এবং খালাসি গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাঁদের। এছাড়া তেমন কোনো হতাহতের খবর নেই। বর্তমানে জরুরী তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। চলছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা...
Powered by Froala Editor