দীর্ঘ ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও আয়লার কথা ভুলতে পারেননি অনেকেই৷ গত বুধবার ঘটে যাওয়ায় আমফানের দাপটে এখনও ছন্নছাড়া অনেকেই। সাইক্লোনের দাপটে কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। শহরের একাংশে এখনও বিদ্যুৎ আসেনি, মিলছে না জল। ঝড়ে বিধস্ত গ্রামগুলির অবস্থা আরও খারাপ৷ বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দুই চব্বিশ পরগনার একাধিক অঞ্চল। উত্তর চব্বিশ পরগনায় সাতশোরও অধিক গ্রাম এখনও জলে ডুবে, জানা গেছে এমনটাই। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০০০০ মানুষ ঘর হারিয়েছেন। রিলিফ ক্যাম্পে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের।
টিনের চালের ওপর গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে আগরপাড়ায় মহাজাতিনগরের এক বৃদ্ধার। চারিদিকে ধ্বংসের ছবি, মানুষের হাহাকার, কোথাও কোথাও গোটা বাড়ি ভেঙে পড়েছে মাটির ওপরে৷
খারাপ অবস্থা যশোর রোডেও। দত্তপুকুর থেকে গাইঘাটা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিমি রাস্তা জুড়ে পড়ে রয়েছে কয়েকশো গাছ। এত বছর ধরে আশ্রয় দেওয়া মহীরুহগুলো যে এভাবে ভেঙে পড়বে, ভাবতে পারেননি অনেকেই। বহু সংখ্যক গাছ মাটি উপড়ে পড়ে রয়েছে রাস্তায়, এমনই দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছেন এলাকাবাসীরা।
বসিরহাটের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানে বেশিরভাগ বাড়িই ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গাছের ডাল ভেঙে বাড়িতে ঢুকে গেছে, কারেন্ট নেই, মানুষ একজোট হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন এখনও।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার লোকেরাও আয়লার পরে এত বড়ো ঝড় দেখেনি সাম্প্রতিককালে৷ হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালির মত জায়গার পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্গীন৷ এর মধ্যে বহু জায়গায় নেটওয়ার্কের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, ফলে যোগাযোগ করা প্রায় কঠিন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে যে আরও কিছুটা সময় লাগবে, তা মনে করছেন অনেকেই।