ভারতের প্রথম ভাসমান গবেষণাগার তৈরি এই বাংলাতেই

ভারতে এই প্রথম চালু হতে চলেছে ভাসমান গবেষণাগার। সমুদ্রের জলের মান, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জল আবহাওয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণার জন্য সম্প্রতি টিটাগড় ওয়াগনস লিমিটেড সমুদ্র গবেষণাগার 'সাগর অন্বেষিকা' নামক জাহাজটি তুলে দিল ভারত সরকারের ভূ বিজ্ঞান মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওসান টেকনোলজির হাতে। বিজ্ঞানের উন্নতির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। আর সেই কাজ সম্পন্ন হল খোদ এই বাংলায়।

পশ্চিমবঙ্গের এই সংস্থা ২০১৮ সালে 'সাগরতারা' নামক আরেকটি জাহাজ তৈরি করেছিল। এই দুটি জাহাজ নির্মাণের জন্য টিটাগড় ওয়াগনস লিমিটেড একশো কোটি টাকা অনুদান পেয়েছিল। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে এনআইওটি-র হাতে তুলে দেবার কথা ছিল 'সাগর অন্বেষিকা'। চার মাস আগে নির্মাণকার্য শেষ হতে, গত শনিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে জাহাজটি হস্তান্তর করা হয়।

টিটাগড় ওয়াগনস লিমিটেড সূত্রে জানানো হয়েছে যে, জাহাজটির ভিতর রয়েছে চল্লিশটি গবেষণাগার। তবে খুব কম কম্পন অনুভূত হবে এই জাহাজে। এমনকি, জাহাজ চলার সময়ও খুব মৃদু শব্দ হবে। দশ জন সমুদ্রবিজ্ঞানী সহ মোট কুড়িজন পনেরো দিন সমুদ্রে থাকতে পারবেন। জাহাজটি শনিবার দুপুর ২.৪৫-এ ওয়াগন কারখানা থেকে গঙ্গায় ভাসানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনআইওটি-র ডিরেক্টর এম এ আত্মানন্দ।

সাগরতারায় ইতিমধ্যে গবেষণা আরম্ভ করেছেন বিজ্ঞানীরা। আরও দ্রুত গবেষণার জন্য সাগর অন্বেষিকা-ও এবার একই পথে নামতে চলেছে। তবে এই জাহাজের গবেষণাগার সুনামি অথবা সামুদ্রিক ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে পারবে না। সে-জন্য অন্য একটি জাহাজ রয়েছে।