আবারও মানুষের হিংস্রতার শিকার বাঘরোল, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হুগলিতে

দিন কয়েক আগেই বাঘরোল নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। ভুয়ো খবরের ওপর ভিত্তি করে পিটিয়ে মারা হচ্ছে এই বিপন্ন প্রাণীকে। অনেকে প্রতিবাদ করলেও, অবস্থার যে কিছুমাত্র সুরাহা হয়নি, তারই প্রমাণ পাওয়া গেল আবার।

হুগলি জেলার পোলবা থানা এলাকার জারুরা গ্রামে সকালে দেখা যায় একটি বাঘরোলকে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকার বাসিন্দারা প্রাণীটিকে ধরে ফেলে। শুধু ধরাই নয়, খাঁচার ভিতর আটকে রেখে চলে অত্যাচার। মারার চেষ্টাও করা হয়। হয়তো মারাও যেত, যদি না পুলিশ এসে বাঘরোলটিকে উদ্ধার করত। ওই বাসিন্দাদেরই কয়েকজন থানায় খবর দেন। পরে পুলিশের সঙ্গে আসে বন দপ্তরের কর্মীরা।

https://www.facebook.com/kaushik.singharoy.12/videos/pcb.2714956765286779/2714956125286843/?type=3&theater

বাঘরোলটি মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। শরীরের অনেক জায়গা থেকে চামড়া, ছাল উঠে এসেছে। আপাতত বন দপ্তরের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আবারও ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রাণীবিদরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার ভিডিও। সেখানেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই অবস্থায় উঠে আসছে মূল প্রশ্ন, আর কবে সচেতন হব আমরা? এর আগেও কোন্নগরে বাঘরোল পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। সমাজের সব স্তরে যাতে সচেতনতা ছড়ায়, যাতে আর একটাও ভুয়ো খবর না ছড়ায়, তার দায়িত্ব তো নিতে হবে প্রশাসনকে। তবে একা প্রশাসন? আমাদের নিজেদেরও কি আরেকটু দায়িত্ববান হওয়া উচিত নয়? সংবাদমাধ্যমগুলোর দায়িত্ববান হওয়া উচিত নয়? পশ্চিমবঙ্গের ‘নিরীহ’ রাজ্য পশুর যদি এই অবস্থা হয়, বাকিদের কী হবে?

চিত্র ঋণ - কৌশিক সিংহ রায়