প্লাস্টিক-অসুর বধ করতে কলাপাতায় মুড়ে বিক্রি হচ্ছে মাছ


সামনে কলাপাতা বিছিয়ে ভোগ খেতে বসার আনন্দই আলাদা। বাঙালির এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে আছে অনেক স্মৃতিই। শুধু বাঙালিই কেন, গোটা দক্ষিণ ভারত জুড়েই কলাপাতায় ধোসা, ইডলির মতো খাবার পরিবেশন করা হয়। সেই সাধারণ কলাপাতাই কখনও বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে, তা চট করে কেউ ভাবেন না।

পরিবেশের স্বার্থে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে ফেলার জন্য দিকে দিকে প্রচার চালানো হচ্ছে। তাতে খুব যে কাজ দিয়েছে তা নয়, তবে বেশ কিছু জায়গায় বিকল্প জিনিসের ব্যবহার বেড়েছে। কাগজের স্ট্র, পাস্তা স্ট্র বিভিন্ন রেস্তোরাঁতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাঁশের তৈরি জিনিসের ব্যবহারও বেড়েছে। আসলে প্লাস্টিককে বর্জন করতে গেলে বদল আনতে হবে প্রাথমিক স্তর থেকেই। পাশাপাশি মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনও জরুরি।

কিছুদিন আগেই টুইটারে একটি ছবি ভাইরাল হয়, যাতে দেখা গেছে কলাপাতার তৈরি পাত্রে খাবার রাখা। যদিও পরে জানা যায়, সেই ছবিটি থাইল্যান্ডের। হতেও পারত এটি ভারতের কোনো জায়গা। একজন টুইট করে জানান, তাঁদের সংস্থা কলাপাতার পাত্রে খাবার পরিবেশন করে গুয়াহাটি থেকে কলকাতার কিছু হোটেলে খাবার পৌঁছে দেয়। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী প্লাস্টিকের বদলে কলাপাতায় মাছ মুড়ে দিচ্ছেন বিক্রেতাদের।

অনেকেই হয়তো ভাবছেন, এভাবে পাতা কেটে ফেললে একপ্রকার গাছের ক্ষতি। আসলে কলাপাতা কাটার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, যাতে তাড়াতাড়ি আবার বেড়ে উঠতে পারে সেই পাতা; প্রকৃতির ভারসাম্য যাতে বিঘ্নিত না হয় কিছুতেই।

যেভাবে প্লাস্টিক দৈত্যের মতো ঘিরে ফেলেছে আমাদের, তাতে এমন খবর একটু হলেও অক্সিজেন দেয়।