জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে, দুই মেরুর বরফ গলছে দ্রুত। আর তাতেই ক্রমশ বিপন্ন হয়ে উঠছে বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবন। বাদ যায়নি সীল ও সী লায়নের মত প্রাণীরাও। শুধু বিশ্ব উষ্ণায়ন নয়, শিকারিদের হাতেও দামি চামড়ার কারণে মারা পড়েছে বহু সীল। তাই নিজেদের বাঁচাতে একসময় ব্যাপক হারে স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে এ-সমস্ত প্রাণীদের।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, পালোমিনো দ্বীপ, সান লরেঞ্জো ও ক্যারাজাকাসে এ-ধরণের ৮০০০ সামুদ্রিক প্রাণী আবার তাদের ঘরে ফিরে আসছে। আর এদের ফিরে আসা সম্ভব হয়েছে পেরুর সামুদ্রিক তটে উপস্থিত মৎস্যজীবী তথা জেলেদের সহায়তায়।
ক্রমশ বিপন্ন হওয়ার মুখে এগিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে সেরকম কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছিল না। তবে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টর। তাদের সহায়তায় আবার বাড়ছে এ সমস্ত সামুদ্রিক প্রাণীদের সংখ্যা।
মাছ ধরা ছাড়াও সমস্ত জেলেদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা যেন নিজেদের এলাকার বিভিন্ন বিপন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীদের যত্ন নেন। তাই জেলেরা অর্থনৈতিক দিক থেকে তাঁদের লাভ কমিয়ে এবং সমুদ্রে অনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করে সেই সমস্ত প্রাণীদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছেন। বিভিন্ন সামুদ্রিক সংরক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এই উদ্যোগটি চিলি, ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ার মতো দেশ গ্রহণ করেছে। সঙ্গে রয়েছেন পেরুর জেলেরাও। আগামী দিনে, পৃথিবীতে হারিয়ে যেতে বসা প্রাণীদের ফিরিয়ে আনতে জেলেদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। শুধুমাত্র দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশগুলোই নয়, সচেতনতা বাড়ুক অনান্য দেশের সামুদ্রিক প্রাণীদের বিপন্নতা নিয়েও।